লঞ্চ থেকে নেমে টোটোয় চড়ে সন্দেশখালি থানায় পৌঁছলেন ডিজি রাজীব, বৈঠক পুলিশকর্তাদের সঙ্গে

উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে পৌঁছলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। লঞ্চ থেকে নেমে টোটোয় চড়ে সন্দেশখালি থানায় পৌঁছন তিনি। তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার এবং বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান।

সন্দেশখালি থানাতেই বৈঠক শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি-সহ একাধিক বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করছেন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক। দুপুর আড়াইটের কিছুটা পরে সন্দেশখালিতে পৌঁছন রাজীব। গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। এই প্রথম সেই এলাকায় গেলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। সন্দেশখালিতে গিয়ে প্রথমেই থানায় চলে যান ডিজি। তিনি বৈঠকের আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও কথা বলেননি।

ইতিমধ্যেই নবান্ন ১০ পুলিশকর্তার একটি টিম তৈরি করে দিয়েছে। তাঁরাও গ্রামে গ্রামে ঘুরে অভিযোগ নিচ্ছেন। যদিও ডিজির যাওয়া অর্থবহ বলেই মনে করছেন প্রশাসনের অনেকে। এর মধ্যে দুই তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা এবং উত্তম হাজরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন সিপিএম ও বিজেপির নেতারাও। এর আগে ভবানী ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন রাজীব কুমার। সে দিনই সেই সাংবাদিক বৈঠকের পরে গ্রেফতার হয়েছিলেন শিবু হাজরা। তবে তৃণমূলের সন্দেশখালি-২ ব্লকের সভাপতি শাহজাহান শেখ এখনও ‘বেপাত্তা’। গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েই আক্রান্ত হতে হয়েছিল ইডি কর্তাদের।

তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মূলত শাসকদলের বিরুদ্ধেই স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসে। শিবুর পোলট্রি ফার্মে আগুন দেওয়া থেকে শুরু করে বাড়ি ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে। প্রতিদিন নতুন নতুন ঘটনা ঘটতে থাকে ন্যাজাট থেকে সন্দেশখালি পর্যন্ত। সেই আবহেই বুধবার সন্দেশখালি গেলেন ডিজি রাজীব কুমার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.