ছাগল চুরির অভিযোগে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার ভাইপোর। এরই জেরে বেধড়ক মারধর করা হল তাকে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশের দিন বেধড়ক মারধর করা হয় ওই যুবককে। আসানসোলের জামুরিয়ার বাহাদুরপুরের ঘটনা।
গ্রামের লোকজন সদ্য় জয়ী তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী পুতুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো প্রসেনজিত্ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আটক করে। তার পরেই শুরু হয় বেধড়ক মারধর। ছাগল চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছে এই অভিযোগে গ্রামবাসীরা একটি গাড়ি আটক করে। সেই গাড়িতে ছিলেন প্রসেনজিত্। তখনই তাকে গাড়ি থেকে বের করে এনে বেধড়ক মারধর করে গ্রামবাসী।
এক গ্রামবাসীর অভিযোগ, আমাদের এলাকা থেকে একটি ছাগলকে গাড়ীতে তুলে নেওয়া হয়। তারপর খুব জোরে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল ওরা। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি দেওয়ালে ধাক্কা মারে। আমরা দৌড়ে গিয়ে দেখি গাড়ির ভেতরে একটি ছাগল। সেটি আমার পাশের গাড়ির একজনের। তাকে আমরা ডাকি। সে এসে ছাগলটিকে সনাক্ত করল। গাড়ি থেকে একজন বেরিয়েছিল। তাকে মারধর করে লোকজন। অন্যরা গাড়ির ভেতরে ঢুকে গাড়ি লক করে দেয়। খবর পেয়ে পুলিস চলে আসে। পুলিস এসে লোকজনকে থামিয়ে দেয়। এর আগেও এখান থেকে অনেক ছাগল চুরি হয়েছে। আমি ওকে চিনি। ছাগটিকে বিস্কুট খাইয়ে গাড়িতে তোলা হয়েছে। লোকজন তা দেখেছে।
এদিকে, ওই ঘটনায় রাজনৈতির রং লেগে গিয়েছে। বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্য়ায় বলেন, কয়লা চুরি, বালি চুরি, চাকরি চুরিতে নাম জড়িয়েছে এক ভাইপোর। এবার গ্রামের তৃণণূল নেতার ভাইপোর নাম জড়াল ছাগল চুরিতে। গোটা রাজ্যটাই চোরে ভরে গিয়েছে। এখন ছাগল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। নতুন আর কী। ভাইপো-তৃণমূল আর চুরি-সব এক ব্য়াপার। পশ্চিমঙ্গটাকে ভাই-ভাইপোরা শেষ করে দিয়েছে।
অন্যদিকে, ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা পরিষদের তৃণমূলের টিকিটে জয়ী পুতুল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সবটাই সাজানো। মিথ্যে অভিযোগ তুলে ওকে মারা হয়েছে। সেরকম কিছু হলে তা অনেক বড় আকার নিত।