‘বাড়িতে থাকতে হলে পুজো নিষিদ্ধ’, মূর্তি ভেঙে হিন্দু ছেলে-বউকে ফতোয়া খ্রিস্টান মা-বাবার

জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য সন্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি বাবা মায়ের। এই অভিযোগ তুলেই রাজস্থানের আলোয়ারের এক দম্পতি অভিযোগ দায়ের করলেন। বাবা মা খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। এবার পুত্র এবং পুত্রবধূকেও তাঁদের ধর্মে ধর্মান্তকরণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

অভিযোগকারী সোনু জানিয়েছেন, দুই বছর আগে তাঁর বাবা মা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তাঁদেরকেও জোর করা হয় খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের জন্য। এমনকি যখন তাঁরা হিন্দু দেবতাদের পুজো করেন সেই সময়ে পরিবারের যারা খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরিত হয়েছেন তাঁরা প্রতিবাদ করে। দেবদেবীদের ছবি পর্যন্ত নষ্ট করে দেন তাঁরা। তাঁরা চাইছেন হিন্দু ধর্ম অবলম্বন করেই থাকতে কিন্তু তাঁর পরিবারের তরফ থেকে জোর করা হচ্ছে ধর্মান্তরের জন্য। সেই কারণেই তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানান সোনু।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা সভাপতি দিলীপ মোদী জানিয়েছেন, ওই পরিবারের বাবা মা তাঁদেরকে বয়কট করে দেবেন বলে হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন যদি না তাঁরা ধর্ম পরিবর্তন করেন। ৬০ ফুট হরিজন এলাকায় বাবা মা তাঁদের সন্তানদের ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন এই ঘটনা তাঁদের নজরে এসেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। এমনকি তিনি আরও জানান, যখন সন্তানেরা হিন্দু দেবদেবীর আরাধনা করছে তখন সেই ছবি পররযন্ত ভেঙে দিচ্ছেন বাবা মায়েরা। বাড়িতে হিন্দু দেবদেবীর আরাধনা করতেও নিষেধ করা হচ্ছে তাঁদের।

তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ধর্ম রূপান্তরের জন্য একটি চেন চালাচ্ছেন তাঁরা। এমনকি ধর্ম পরিবর্তনের জন্য দেওয়া হচ্ছে মাসিক কিছু টাকাও। তাঁরা হিন্দু দেবতাদের নীচুও করছেন এবং জোর করছেন লোকজনকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য। এটি একটি র্যাকেট এবং তাঁরা উচ্চস্তরের থেকে নিরাপত্তাও এবং ফান্ড পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানান, তাঁরা চান যাতে হিন্দুদের সংখ্যা কমে যায়। তবে পুলিশের পক্ষ থেক জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.