রাজ্য সরকার দেউলিয়া হওয়ার পথে, তেলের দাম কমানোর ক্ষমতা নেই মমতার

পেট্রোল ডিজেলের দাম নিয়ে অবিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিকে প্রধানমন্ত্রীর ‘পরামর্শ’-এর পরই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ। বুধবার এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও শাসকদল তৃণমূলের তুমুল সমালোচনা করেন তিনি। দিলীপবাবুর আশঙ্কা, রাজ্য সরকার আর্থিক দেউলিয়া হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। ফলে তেলের দাম কমানোর ক্ষমতা নেই তাদের।

এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘তেলের দাম কমানোর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁর দলের লোকজন পেট্রোল পাম্পে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। তার পর কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোলের দাম কমিয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও কমিয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেলের দাম কমাননি। আজ বিজেপিশাসিত রাজ্য ও বিরোধীশাসিত রাজ্যের পেট্রোলের দামে ১৫ – ২০ টাকা ফারাক হয়ে গিয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি তেলের দাম কমাতে পারলে আপনারা কেন কমাচ্ছেন না? আপনাদের তো লোকের জন্য দরদ বেশি’।

সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সংযোজন, ‘নিজের পার্টির লোকেদের পুষতে পুষতে সরকারের অবস্থা খারাপ। ট্যাক্স কমাতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার পেনশন দিতে পারছে না। দুদিন পর মাইনেও বন্ধ হয়ে যাবে। শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হয়ে যাবে। অর্থনৈতিক ইমারজেন্সি জারি করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আজ পথ দেখিয়েছেন। সত্যিই মানুষের জন্য কষ্ট হলে একটু কৃছ্রসাধন করুন। কিন্তু তারা করবেন না আমরা জানি। তারা রাজনীতি করবেন’।

বুধবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মোদী বলেন, ‘গত নভেম্বরে জ্বালানি তেলের উপর শুল্ক কমিয়েছিল কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে কর কমানোর জন্য আর্জি জানিয়েছিল। আমি কারও সমালোচনা করছি না। তবে আমি মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ুকে (জ্বালানি তেলের) ভ্যাট কমিয়ে মানুষকে সুবিধা দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.