ভারতে উচ্চবিত্ত ও সম্ভ্রান্ত ঘরের মুসলিমদের মধ্যে ক্রমশই বাড়ছে ইসলাম সম্বন্ধে অনীহা

ভারতে উচ্চবিত্ত ও সম্ভ্রান্ত ঘরের মুসলিমদের মধ্যে ক্রমশই বাড়ছে ইসলাম সম্বন্ধে অনীহা।
সম্প্রতি অভিনেত্রী উরফি জাভেদ যিনি তাঁর অন্যরকম ফ্যাশন সচেতনতার কারণে প্রায়ই খবরের শিরোনামে থাকেন ইঙ্গিত দেন তিনি ইসলাম সম্বন্ধে বীতশ্রদ্ধ। মুসলিম পরিবারে বড়ো হওয়া উরফি জানান তিনি গীতা পড়ছেন ও হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থে শান্তি খুঁজে পেয়েছেন।
গীতা পাঠ প্রসঙ্গে উরফি বলেন, “আমি এ সময় গীতা পড়ছি। আমি সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আরো জানতে চাই। আমি এর যৌক্তিক অংশে বেশি আগ্রহী। আমি চরমপন্থাকে ঘৃণা করি। গীতা ধর্মীয় কট্টরতাকে প্রশ্রয় দেয় না। “

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উরফির জন্ম ও বেড়ে ওঠা একটি রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে। এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের বিয়ে ও প্রেম নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান কখনোই কোনো মুসলিম পুরুষকে তিনি বিয়ে করবেন না।

জাভেদ আরো বলেন, তিনি যে ঘৃণামূলক মন্তব্য পেয়েছি তার বেশির ভাগই মুসলিমদের কাছ থেকে। তারা বলে, আমি ইসলামের ভাবমূর্তি খারাপ করছি। তারা আমাকে ঘৃণা করে কারণ মুসলিম পুরুষরা চায় তাদের নারীরা তাদের আদেশমতো চলুক। তারা সমাজের সব নারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এ কারণে আমি ইসলামে বিশ্বাস করি না। তারা আমাকে ট্রোল করে, কারণ আমি তাদের ধর্ম অনুযায়ী আচরণ করি না।

“আমি ইসলামে বিশ্বাস করি না এবং আমি কোনো ধর্ম অনুসরণ করি না। তাই আমি কার প্রেমে পড়ি তাতে আমার কিছু আসে যায় না, বলেন উরফি।

তিনি বলেন ধর্মকে কারো ওপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। প্রত্যেকেরই স্বাধীন ইচ্ছা থাকা উচিত- তারা কোন ধর্ম পালন করবে। তিনি বলেন, তাঁর বাবা খুবই রক্ষণশীল মানুষ ছিলেন। বাবা যখন মারা যান তখন তাঁর বয়স ১৭ বছর।
উরফির মা খুব ধার্মিক মহিলা, কিন্তু তিনি কখনোই সন্তানদের ওপর তাঁর ধর্ম চাপিয়ে দেননি। আমার ভাইবোনরা ইসলাম অনুসরণ করে এবং আমি তা করি না। কিন্তু তারা কখনোই আমার ওপর জোর খাটায় না। এমনই তো হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.