সবজি থেকে মাছ–মাংসের দাম বেড়ে গেল, ভাইফোঁটায় নাভিশ্বাস দিদি–বোনেদের

সবে দীপাবলির উৎসব মিটেছে। অনেকেই ভেবেছিলেন এবার বোধহয় বাজারে শাক–সবজি–মাছ–মাংসের দাম কমবে। তাহলে পাতপেড়ে ভাই–দাদাকে ডেকে ভাইফোঁটা দেওয়া যাবে। কিন্তু সেই ভাবনার সঙ্গে বাস্তবের মিল খুঁজে পেলেন না সকালে বাজারের থলি নিয়ে হাজির হওয়া মানুষজন। কারণ আজ, শনিবার বাজারে যে জিনিসেই হাত দিয়েছেন মানুষ তাতে হাত পুড়েছে। অগ্নিমূল্য বাজারদরে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের।

আজ ভাতৃদ্বিতীয়ার আগে শুক্রবার থেকেই বাজারে দেদার দাম বেড়েছে সবকিছুর। সবজি থেকে মাছ–মাংস সবেরই দামে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে। অথচ বাঙালির রীতি ভাইফোঁটা—সেটা তো করতেই হবে। আর তা করতে গিয়ে পকেটে পড়েছে টান। লক্ষ্মীপুজোর আগেও বেড়েছিল সবজির দাম। এবার ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে সেটা চড়েছে চরমে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

এদিকে পেট্রোল–ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহণের খরচ বেড়েছে। তাতে শাক–সবজি–মাছ যা নিয়ে আসা হচ্ছে অন্য জায়গা থেকে সেখানে গুণতে হচ্ছে বড় অঙ্কের ভাড়া। তাই তার প্রভাব পড়ছে বাজারে। সেটা সহ্য করতে হচ্ছে ক্রেতাকে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোনটা কিনলে বাজেটে কুলোবে, সেটা ভাবতেই অস্থির হচ্ছেন তাঁরা।

অন্যদিকে রাজ্যের বেশিরভাগ বাজারেই এই দাম দেখে চোখ কপালে উঠেছে ক্রেতাদের। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। অনেকেই বলছেন, বাজারে এসে খালি থলি নিয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে ভাইদের পছন্দ মতো পদ পাতে তুলে দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

কেমন দর বাজারের?‌ আলু– প্রতি কেজির দাম ১৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২২ টাকা। পেঁয়াজ– প্রতি কেজির দাম ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা। পটল– প্রতি কেজির দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। বেগুন– প্রতি কেজির দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। টম্যাটো– প্রতি কেজির দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা। কাঁচালঙ্কা– প্রতি কেজির দাম হয়েছে ২০০ টাকা। বাঁধাকপি– প্রতি কেজির দাম ৬০ টাকা। ফুলকপি– প্রতি পিস ৪০ টাকা। সঙ্গে মাছ–মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় হেঁশেলে আগুন জ্বলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.