ড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ মেনে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে গঠিত বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি রিপোর্ট দিয়ে জানাল এ কথা। রিপোর্টে বলা হল, দেশে ইতিমধ্যেই আছড়ে পড়েছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশে ‘আর ভ্যালু’ ১-এর উপর উঠে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এক জন সংক্রমিতের থেকে কত জন আক্রান্ত হচ্ছেন, তা বোঝানো হয় এই ‘আর ভ্যালু’ দিয়ে।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ‘ভুূল’ থেকে শিক্ষা নিয়ে যাতে আরও সতর্ক হয়ে আসন্ন ঢেউয়ের মোকাবিলা করা হয়, তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা দেওয়া ওই রিপোর্ট বলছে, তৃতীয় ঢেউয়ের সময়ে বিপুল সংখ্যক শিশু সংক্রমিত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য যত সংখ্যক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং পরিকাঠামো প্রয়োজন, তা নেই দেশে। এই বিষয়টির দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞদের ওই কমিটি।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
এই রিপোর্ট সামনে আসতেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মধ্যে। কারণ, অক্টোবর থেকেই বাংলায় পুজোর মরশুম হচ্ছে।তার মধ্যেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়া এবং তা শিখর ছোঁয়ায় পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে, তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
গাণিতিক মডেলের উপর নির্ভর করে সম্প্রতি আইআইটি-র একটি গবেষণাও জানিয়েছিল, অক্টোবরেই দেশে চরম আকার নিতে পারে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তৈরি বিশেষজ্ঞদের কমিটিও ওই গবেষণাতেই সিলমোহর দিল।