Shubman Gill | IND VS NZ: প্রিয় বন্ধুই কি ইতিহাস লেখার অনুপ্রেরণা! ডাবল সেঞ্চুরির পর গিলের মুখে কার নাম?

 শুভমন গিল (Shubman Gill) এখন ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায়। বুধবার নিজামের শহরে ব্যাট শাসনে ফের একবার চিনিয়েছেন তাঁর জাত। দেশের জার্সিতে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন পঞ্জাবের বছর তেইশের ব্যাটার। তাঁর ব্যাটে ভর করেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ভারত ১২ রানে জিতে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গিয়েছে। এদিন ওপেন করতে নেমে ৪৯.১ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে শুভমন ১৪৯ বলে ২০৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। ১৯টি চার ও ৯টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ১৩৯.৫৯ এর স্ট্রাইক রেটে। পঞ্চম ভারতীয় হিসাবে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে দ্বি-শতরান করার নজির গড়েছেন। গিলের বিধ্বংসী ইনিংসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইশ গজ। আর গিল এদিন ম্যাচের পর ম্যাচের সেরা বলছেন যে, তাঁর ইতিহাস লেখার অনুপ্রেরণায় রয়েছেন ভারতের আরেক তরুণ ব্যাটার ঈশান কিশান (Ishan Kishan)! 

ম্যাচের পর গিল বলেন, ‘আমি মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে ছিলাম, যেটা আমি করতে পারি, সেটাই করতে চাই। একটা সময়ে উইকেট পড়ে যাচ্ছিল। আমি একেবারে নিজেকে উন্মুক্ত করে দিয়েই খেলতে চেয়েছিলাম। আমি আনন্দিত যে, শেষ পর্যন্ত এটা করতে পেরেছি। বোলাররা যখন আধিপত্য দেখায়, তখন তাদের চাপে রাখা উচিত। সংকল্পই হাওয়া উচিত ডট বল এড়িয়ে আরও বেশি করে গ্যাপ খুঁজে নিয়ে খেলা। সেটাই করছিলাম আমি। সত্যি বলতে ৪৭ ওভারে ছয় মারার আগে পর্যন্ত ২০০ নিয়ে ভাবিনি। এরপরেই মনে হয় যে, আমি ২০০ করতে পারি। তার আগে পর্যন্ত যেরকম বল পেয়েছি, সেভাবে খেলেছি। দেখুন ঈশান কিশান আমার অন্যতম প্রিয় বন্ধু। ও যখন ডাবল সেঞ্চুরি করেছিল, আমি তখন ক্রিজে ছিলাম। এটা ভীষণ স্পেশ্যাল অনুভূতি। এটা সত্যিই ভালো লাগে যখন কিছু করতে চাই আর নিয়মিত ভাবে সেটা করতে পারি। অবশ্যই তৃপ্ত। ডাবল সেঞ্চুরি করে ভালো লাগছে। প্রত্যাশার বাইরেই অনেক হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হয়েছে এটা।’

মাত্র ১ মাস ৮ দিনের মাথায় ঈশানকেই পিছনে ফেলে দিয়েছেন গিল। গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে একদিনের ফরম্যাটে দ্বিশতরানের নজির গড়েছিলেন ঈশান। এদিন ভারতের সবচেয়ে তরুণ ব্যাটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির মালিক হলেন গিল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে দ্রুততম দ্বি-শতরানের রেকর্ড করেছিলেন ঈশান। এরপরেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টানা তিন ম্যাচ তিনি ছিলেন রিজার্ভে। যা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়। ব্যক্তিগত কারণের জন্য কেএল রাহুল নেই এই সিরিজে। স্বাভাবিক ভাবেই দরজা খুলেছে ঈশানের জন্য। ম্যাচের আগের দিন রোহিত বলেছিলেন যে,  ‘ঈশান ব্যাট করবে মিডল-অর্ডারে। আমি আনন্দিত যে, ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুরন্ত নক খেলার পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে রান করতে পারবে।’ তবে এদিন ঈশান চারে নেমে হতাশই করলেন। ১৪ বলে মাত্র ৫ রান করে তিনি আউট হয়ে যান। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.