তপোবন সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছেই, উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়ে মৃত্যু বেড়ে ৩৫

গত রবিবার ভয়াবহ বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছে উত্তরাখন্ডের চামোলি জেলা। রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার-এই সময়ে প্রাণ বাঁচানোর অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আইটিবিপি, সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-এর যৌথ বাহিনী। কিন্তু, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি ২০৪ জনের। পাশাপাশি চামোলি জেলার বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৫। তপোবন সুড়ঙ্গে যাঁরা আটকে রয়েছেন তাঁদেরও খোঁজ নেই। সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এই তপোবন বিদ্যুৎপ্রকল্পের সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে।
বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিপর্যয়ের ঘটনায় এখনও নিখোঁজ ২০৪ জন। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৩৫ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার জানিয়েছেন, ৩৫ জনের মধ্যে ১০ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ৭২ ঘন্টারও বেশি সময় অতিক্রান্ত, এখনও পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢুকতেই বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। সুড়ঙ্গের মুখ কাদা, পাথরে আটকে রয়েছে। উদ্ধারকারী দল সূত্রে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গের ভিতরে বড় বড় পাথর আটকে থাকায় সেগুলো পরিষ্কার করে ভিতরের দিকে ঢুকতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তার উপর ড্রিল করার সময় মেশিন ভেঙে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হয়েছে।  বিপর্যয় পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে এদিনই তপোবন সুড়ঙ্গের সামনে আসেন উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল বেবি রানী মৌর্য্য। সঙ্গে ছিলেন চামোলি জেলার জেলাশাসক স্বাতী এস ভাদোরিয়া, শীর্ষ পুলিশ করতে। এদিন রাজ্যপাল আইটিবিপি-সহ অন্যান্য উদ্ধারকারী দলের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.