এবার আকাশপথেই ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে ভয়ংকর বদলা নেবে ভারত! সার্জিক্যাল স্ট্রাইক কি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা? ফরাসি ‘ত্রিফলা’য় এবার পাকিস্তানকে বেগ দিতে চলেছে ভারত!
1/5
পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাস!

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের হত্যালীলায় কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন বাদে সকলেই পর্যটক। গোট দেশ জুড়ে পাক মাটিতে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তিনি বলেছেন, পহেলগাঁওতে ষড়যন্ত্রী ও জঙ্গিদের কল্পনাতীত শাস্তি দেবেন তিনি। ভারতীয় বায়ুসেনা শুরু করেছে এক বিরাট সামরিক মহড়া। যার নাম ‘আক্রমণ’। নামই সব বলে দিচ্ছে। বিমানবাহিনী পাহাড় এবং স্থলে লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের ড্রিলই সারছে। দেশের মূলধারার যুদ্ধবিমানগুলি সেখানে আকাশ দাপাচ্ছে। রয়েছে সুখোই স্কোয়াড্রন। তবে নৌবহরের নেতৃত্ব দিয়েছে ‘রাজা’ রাফায়েল যুদ্ধ বিমান।
2/5
চর্চায় ফরাসি ত্রিফলা

ফরাসি ‘ত্রিফলা’য় বিদ্ধ হবে পাকিস্তান! ভারত যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিমান হামলার পরিকল্পনা করে, তাহলে আইএএফ হয়তো ‘খুব বিরল তিনটি’ যুদ্ধবিমানকে একসঙ্গে মোতায়েন করতে পারে। জানা যাচ্ছে আকাশপথেই ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে ভয়ংকর বদলার ছক কষেছে ভারত। ফরাসি ‘ত্রিফলা’য় এফোঁড় ওফোঁড় হবে পাকিস্তান! সেক্ষত্রে আকাশ দাপাবে তিন ফরাসি যোদ্ধা-সেপেক্যাট জাগুয়ার, মিরাজ ২০০০ ও রাফাল।
3/5
সেপেক্যাট জাগুয়ার

সেপেক্যাট জাগুয়ার আকাশের একটু নীচুতে ওড়া, সামুদ্রিক স্কিমিং বোমারু যুদ্ধবিমান। যা ব্রিটেন এবং ফ্রান্স যৌথভাবে তৈরি করেছে। ভারত ছাড়া সর্বত্র বিমানটি বাতিল করা হয়েছে, কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার বিশ্বস্ত যোদ্ধা। সেপেক্যাট জাগুয়ার একটি সুপারসনিক যুদ্ধবিমান যা বাকি বিমানদের সহায়তা প্রদানের সঙ্গেই পারমাণবিক হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমনকী ভারতের পারমাণবিক ত্রিভুজেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যে বিগত ৪৫ বছর ধরে ভারতীয় বায়ুসেনার হয়ে সার্ভিস দিয়ে আসছে। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় জাগুয়ার তার ক্ষমতা বুঝিয়ে দিয়েছিল। আনগাইডেড এবং লেজার-গাইডেড উভয় প্রকারের বোমাই নিক্ষেপ করেছিল। ২০১৯ সালে বালাকোট সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে এই জাগুয়ারের ভূমিকা ছিল পাকিস্তানকে বোকা বানানো, সেদেশের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলিকে লক্ষ্যবস্তু থেকে দূরে সরানোর জন্য জাগুয়ারগুলি ছলনা করেছিল। যার ফলে মিরাজ ২০০০ পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে আক্রমণ চালাতে সক্ষম হয়েছিল। বাকিরা বাতিল করলেও ভারত কিন্তু জাগুয়ারকে রেখে দিয়েছে কারণ আকাশপথে মাঝারি উচ্চতায় সে স্ট্যান্ড-অফ স্ট্রাইক দারুণ ভাবে করতে পারে।
4/5
মিরাজ ২০০০

একটু অতীতে ফেরা যাক। ১৯৮১ সালে আমেরিকা প্যাকেজের অংশ হিসেবে পাকিস্তানকে কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলি বিক্রির অনুমোদন দিয়েছিল। আর ঠিক সেই সময়ে ভারতেরও জরুরি ভিত্তিতে নৌবহর আপগ্রেড করার প্রয়োজন ছিল। ১৯৮২ সালে ভারত ফরাসি যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০-এর অর্ডার দিয়েছিল। কার্গিল এবং বালাকোট মিরাজ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফর্ম করেছিল। ভারতের হয়ে বিগত চার দশক মিরাজ সার্ভিস দিচ্ছে। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধ চলাকালীন মিগ-২১ এবং মিগ-২৭ বিমানগুলি শত্রুর শক্ত অবস্থানগুলি গুঁড়িয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। ওই সময় ভারতীয় বায়ুসেনা, তাদের অস্ত্রাগারের সবচেয়ে মারাত্মক অস্ত্র মিরাজ ২০০০ ব্যবহার করেছিল। টাইগার হিল, টোলোলিং, পয়েন্ট ৫১৪০ এবং বাটালিক অঞ্চলে একটি পাকিস্তানি সরবরাহ স্টেশনে লেজার-গাইডেড বোমা নিক্ষেপ করেছিল। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের ১২টি মিরাজ ২০০০,পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে অবস্থিত, বালাকোটের জইশ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) সন্ত্রাসবাদীদের শিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। ভারত সরকার কোনও আনুষ্ঠানিক মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করেনি তখন, তবে তৎকালীন ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে এই হামলায় ৩০০ জন হতাহত হয়েছিল। তবে পাকিস্তান সব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল।
5/5
রাফাল
