যুদ্ধবিরতির পরও দ্রুত নিহত প্যালেস্টাইনির সংখ্যা বাড়ছে গাজ়া ভূখণ্ডে! তবে নতুন করে ইজ়রায়েলি ফৌজের হামলায় নয়, পুরনো হানাদারির ‘পরিণতি’ সামনে আসার কারণে।
স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বশাসিত গাজ়া কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইজ়রায়েলি হামলায় সেখানে নিহতের সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ফলে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী নতুন করে সেখানে কোনও অভিযান চালায়নি। তবে সেখানে কেন বাড়ছে নিহত প্যালেস্টাইনির সংখ্যা?
স্বশাসিত গাজ়া কর্তৃপক্ষের দাবি, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরে বিভিন্ন এলাকায় ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। আর প্রতিদিনই তার তলায় চাপা পড়ে থাকা দেহ উদ্ধার হচ্ছে। ফলে ‘নিখোঁজ’ তালিকা কমছে। দীর্ঘ হচ্ছে, ‘নিহত’-এর তালিকা। এখনও প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার প্যালেস্টাইনির দেহ বিভিন্ন এলাকার ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাজা সিটির আল–শিফা হাসপাতালে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে গাজ়া কর্তৃপক্ষের তথ্য দফতরের প্রধান সালামা মারুফ বলেন, ‘‘নিহতদের মধ্যে ১৭ হাজার ৮৮১টি শিশু রয়েছে। যাদের মধ্যে ২১৪ জন নবজাতক!’’
কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়েছে। তার পর থেকেই যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত হিসাবে শুরু হয়েছে বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া। সেই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিহতদের দেহের সন্ধানও শুরু হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি জারি থাকলেও গাজ়ার বিভিন্ন এলাকায় ধ্বংসস্তূপ পুরোপুরি সরাতে কয়েক বছর সময় লেগে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।