পেট্রোপোল সীমান্তে উদ্ধার ৭ সিমবক্স, ধৃত বাংলাদেশি-সহ ৩

সদ্য সিমবক্স নিয়ে দমদম বিমানবন্দর এলাকা থেকে এসটিএফের হাতে ধরা পড়েছিল বাংলাদেশের নাগরিক-‌সহ মোট তিনজন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সিমবক্স-সহ ভারত-‌বাংলাদেশের পেট্রোপোল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হল আরও এক বাংলাদেশি নাগরিক ও ভিনরাজ্যের এক বাসিন্দাকে। রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছে এক বাংলাদেশি।

এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে পেট্রোপোলের জয়ন্তীপুর থেকে দু’‌জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে সাতটি সিমবক্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ঢাকার শরিয়তপুরের বাসিন্দা ৩৫ বছরের শাহ আলম তালুকদার। অপর অভিযুক্তের নাম আফতার আলি খান। তার বাড়ি ওড়িশার ভদ্রকে। ধৃতদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন গোয়েন্দারা। এই ঘটনার পিছনে আরও বড় কোনও চক্রে জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন স্পেশাল টাস্কফোর্সের গোয়েন্দারা।

এই সিমবক্সটি আসলে কী ? ‌আর এর ব্যবহার কোন কাজে হতে পারে ?

‌তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সিমবক্স এমন একটি যন্ত্র, যাতে শতাধিক সিমকার্ড একসঙ্গে ঢোকানো যায়। উদ্ধার করা সিম বক্সে একসঙ্গে ২৫৬ টি সিম স্লট ক্যাপাসিটি রয়েছে। সাধারণত এগুলি চিনে তৈরি করা হয়। এটি ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক কলকে লোকাল কল হিসাবে দেখানো যায়। আবার চাইলে উল্টোটাও করা যায়। অর্থাৎ যে কোনও লোকাল কলকে আন্তর্জাতিক কলে ট্রান্সফার করা যায়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করেই বিদেশ থেকে আসা কলকে ডাইভার্ট করে লোকাল কল করে দেয় জামতাড়া গ্যাং।

লোকেশন বদলে যাওয়ায়, কোথা থেকে কল আসছে, চট করে তার টাওয়ার লোকেশান খুঁজে পাবেন না তদন্তকারীরা। এমনকী, কল ব্লক করাও সম্ভব হবে না। এই সিমবক্স ব্যবহার করেই রমরমিয়ে চলে আর্থিক প্রত ারণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.