ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত মন্ধানা-সালমা, হরমনপ্রীতদের হারিয়ে টি-২০ চ্যাম্পিয়ন ট্রায়ালব্লেজার্স

মহিলা টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট তুলে নজির গড়েন রাধা যাদব। জোর ধাক্কা দেন ট্রায়ালব্লেজার্সের মিডল অর্ডারে। কিন্তু ওই যে, ক্রিকেট তো দলগত খেলা। তাই একার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সও অনেক সময় দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ট হয় না। আর সেটাই হল সোমবার। ইতিহাস গড়েও ট্র্যাজিক ক্যুইন হয়ে রয়ে গেলেন সুপারনোভাসের রাধা। সোমবারের শারজায় শেষ হাসি হাসল স্মৃতি মন্ধানা অ্যান্ড কোং।

ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট। মন্ধানার জন্য আজ নিঃসন্দেহে এই বাক্যই মানাই। শুধু সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েই নয়, ব্যাট হাতে মারকাটারি একটি ইনিংস খেলেই ফাইনাল ম্যাচ পকেটে পুরলেন তিনি। টস জিতেই ঠিক করে নিয়েছিলেন স্কোর বোর্ডে অনেকটা রান তুলে ফেলবেন। ডটিনের সঙ্গে জুটি বেঁধে শুরুটা দুর্দান্ত করেন ক্যাপ্টেন মন্ধানা। ৪৯ বলে অধিনায়িকার ৬৮ রানের ইনিংস সাজানো ছিল পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা দিয়ে। ডটিন আউট হন ২০ রানে। তবে এরপরই রাধার ঝোড়ো বোলিংয়ে ধস নামে ট্রায়ালব্লেজার্সের ব্যাটিং অর্ডারে। ১০ রানে ফেরেন রিচা ঘোষ। তাই শেষমেশ স্কোরবোর্ডে রানটা খুব একটা সন্তোষজনক ছিল না। ফলে লড়াইটা হয়ে ওঠে হাড্ডাহাড্ডি।

দলে জেমাইমা, তানিয়া ভাটিয়া, হরমনপ্রীতের মতো ব্যাটাররা যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। তাই সতর্ক ছিলেন মন্ধানারাও। আর অধিনায়কের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখলেন দীপ্তি শর্মা, সালমা খাতুনরা। দুই বোলারের দুরন্ত বোলিংয়ে ক্রিজে ক্ষণস্থায়ী হল সুপারনোভাসের ব্যাটারদের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীতের। তিনটি উইকেট তুলে নেন সালমা। জোড়া উইকেট ঝুলিতে ভরেন দীপ্তি। ৪ ওভারে ১৭ রান দেন ঝুলন গোস্বামী। আর সেই সৌজন্যেই ট্রফি আসে মন্ধানার ঘরে। তবে ব্যাট-বলই নয়, দুরন্ত ফিল্ডিংও করে ট্রায়ালব্লেজার্স। ইতিমধ্যেই চানতামের একটি বাউন্ডারি দুর্দান্ত সেভের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার আইপিএল ফাইনালের আগে জমজমাট একটা ম্যাচের সাক্ষী করলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

ভারতীয় মহিলা ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মিতালি রাজ আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। আর এদিন জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের ক্যাপ্টেনকে হারিয়ে টি-২০ দলের ক্যাপ্টেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলে মন্ধানা। এমন জয় যে মহিলা ক্রিকেট ও ভারতীয় প্রমীলাবাহিনীকেই আরও শক্তিশালী করে তুলল, তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.