ভারতের মিডল অর্ডারের উপরেই আমি বাজি ধরছি: শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। তাও আবার বিশ্বকাপ। সকাল থেকেই সংবাদমাধ্যম এবং নেটমাধ্যমে ম্যাচের উত্তাপটা টের পাচ্ছি। সকাল থেকেই বৃষ্টির পূর্বাভাস। সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরা রবিবারের এই ক্রিকেট মহাযুদ্ধর দিকে তাকিয়ে। তাই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি যাতে বৃষ্টি না হয়।

একটা টেস্ট ম্যাচে টিমের হাতে অনেকটা সময় থাকে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি মানে কিছুই অনুমান করা যায় না— কী হবে বলা মুশকিল। কোনও সন্দেহ নেই, এই ম্যাচে ভারত ফেবারিট। আমিও ভারতীয় দলের ভক্ত। ভারতের ব্যটিং লাইনআপটা খুবই শক্তিশালী। আবার বুমরা ও জাডেজার মতো প্লেয়াররা নেই বলে আমার মনে হয় ভারতের বোলিং নিয়ে একটু সমস্যা রয়েছে।

অনেকেই হয়তো বলবেন যে রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলি রান পেলে ভারতের আর কোনও চিন্তা নেই। অন্য দলরাও হয়তো এই দু’জনকে নিয়েই বেশি ভাববে, রণকৌশল সাজাবে। আমি বলব, ভুলে গেলে চলবে না আমাদের কিন্তু প্রায় ৭ জন ব্যাটার। দলে দু’জন ভালো ফিনিশার আছেন— হার্দিক পাণ্ড্য এবং দীনেশ কার্তিক। মিডল অর্ডারে সূর্যকুমার যাদব রয়েছেন। তাই টপ অর্ডার কোনো কারণে ব্যর্থ হলেও আমার মনে হয় বাকিরা সেটা সামলে দিতে পারবেন।

অস্ট্রেলিয়া শেন ওয়ার্নের দেশ। তাই এরকম ভাবার কোনও কারণ নেই যে ওখানকার পিচে বল ঘুরবে না। সেখানে আমাদের তুরুপের তাস হতে পারেন চহাল বা অক্ষর প্যাটেল। তবে কাকে খেলানো হবে, সবার আগে সেটাও দেখতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার মাঠ বড়। আমাদের পেসাররা স্লোয়ারের উপর বেশি জোর দিলে আমার মনে হয় পাকিস্তানের উইকেট ফেলা সহজ হতে পারে।

বড় ম্যাচের অনেকটাই নির্ভর করে কে কতটা চাপ নিতে পারছেন তার উপর। এর আগে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে কী ঘটেছিল তা আমরা জানি। একটা ওভারই খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আজকে সেসব ভুলে রোহিতদের নতুন ভাবে মাঠে নামা উচিত।

সবাই জানে পাকিস্তানের শক্তি তাদের বোলিং লাইনআপ। ওদের কিন্তু ব্যাটসম্যান মাত্র দু’জন— বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান। এই দু’জনকে আটকে দিতে পারলে বাজি অনেকটাই ভারতের দিকে ঘুরে যাবে। ভারতকে ঠাণ্ডা মাথায় শাহিন আফ্রিদিকে খেলতে হবে। ওঁকে আটকে দিতে পারলে কিন্তু ভারতের দিকেই পাল্লা ভারী।

শেষ ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে বলে মনের দিক থেকে ওরা কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের যা পরিসংখ্যান, সে দিকে তাকিয়ে বলতে পারি আমাদের ভয় অনেকটাই কম। কিন্তু ওই যে শুরুতেই বললাম, এটা টি-টোয়েন্টি। তাই এত আলোচনার পরেও কী হবে সেটা জানতে আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা মাত্র। অল দ্য বেস্ট টিম ইন্ডিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.