voting rate, Commission, ভুয়ো ভোটার তালিকা থেকে বাদ, ছাপ্পা না হওয়াতেই ভোট দানের হার কম, মত কমিশনের

রাজ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার তুলনায় তৃতীয় দফায় কিছুটা হলেও ভোট দানের হার বেড়েছে। তবে তৃতীয় দফার ভোটের হার বাড়লেও তা গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের হারের তুলনায় অনেকটাই কম। এর পেছনে একাধিক কারণ দেখছে নির্বাচন কমিশন।

মূল কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে ছাপ্পা ভোট কমে যাওয়া এবং ভোটার তালিকা থেকে ভুয়ো ভোটার উধাও হওয়া।

কমিশন মনে করছে, ভোট দানের হার কমার মূল কারণ তিনটি। প্রথমতঃ ভোটার তালিকা থেকে ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ পড়া। বিরোধীদের অভিযোগের পর ভোটার তালিকা থেকে বহু ভোটারের নাম আগে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

দ্বিতীয় কারণ হিসেবে ছাপ্পা ভোট না পড়াকে ধরছে কমিশন। তারা মনে করছে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হওয়ায় প্রতিবারে যে বাড়তি ভোটটা ছাপ্পা হিসেবে পড়ে এবার সেটা আটকানো গিয়েছে।

তৃতীয় কারণ হিসেবে পরিযায়ী শ্রমিকরা সকলে ভোট দিতে আসেননি। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা দেখে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক এবার ভোট দিতে আসেননি। সেটারও একটা প্রভাব পড়েছে ভোট বাক্সে বলে মনে করছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিকের মতে এবার প্রথম থেকেই ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল এবং ছাপ্পা ভোট রুখে দেওয়ার ক্ষেত্রে সফলতা পাওয়া গেছে। এর ফলেই ভোটদানের হার কমেছে। পাশাপাশি গত পঞ্চায়েত ভোটের হিংসার কারণে এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকেই ভোট দিতে আসেননি বলে কমিশন কর্তাদের ধারণা।

তবে বিশ্লেষকদের মতে এগুলি যদি ভোট কমার কারণ হয় তাহলে সেটা কমিশনের ব্যর্থতা হিসেবে না দেখে সাফল্য হিসেবেই দেখা উচিত। কমিশনের পক্ষ থেকে যে চূড়ান্ত ভোটের হার জানানো হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে। তৃতীয় পর্বে রাজ্যে ভোট দানের হার ৭৭.৫৩ শতাংশ যা ২০১৯ সালের থেকে প্রায় চার শতাংশ কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.