ভারতের হাতে আসতে চলেছে বিতর্কিত ধর্ম প্রবক্তা জাকির নায়েক

বিতর্কিত ধর্মীয় প্রবক্তা তথা উত্তেজিত ধর্মীয় বয়ান রাখার অভিযোগে ভারত ত্যাগী জাকির নায়েককে আর আশ্রয়ে রাখতে চায় না মালয়েশিয়া সরকার।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মহম্মদের একটি মন্তব্য ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। তিনি বলেছেন, অন্য কোনও দেশ জাকির নায়েককে নিতে চায় না বলেই তাকে আমাদের এখানে রাখতে হচ্ছে। তবে সম্প্রতি জাকির নায়েকের ব্যাপারে ভিন্নমত দিয়েছিলেন মাহাথির।

তীব্র আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করেও মালয়েশিয়া সরকার তাকে আশ্রয় দিয়েছে। তুরস্ক সফর করছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মহম্মদ। সেখানে এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জাকির নায়েকের কট্টর দর্শন আমাদের দেশের জন্য হুমকি।

২০১৬ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার হোলি আর্টিজান ক্যাফের ভিতর জঙ্গি হামলা হয়। বহু বিদেশিকে কুপিয়ে খুন করে জঙ্গিরা। তারপর থেকেই উঠে আসে মুম্বই নিবাসী জাকির নায়েকের নাম। কারণ হামলাকারী বাংলাদেশি জঙ্গিরা পিস টিভি নামে একটি ইসলাম ধর্মীয় চ্যানেলে জাকিরের ভাষণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। এছাড়াও কাশ্মীরের জঙ্গিদের মধ্যে জাকির নায়েকের জনপ্রিয়তা ছড়ায় দ্রুত।

পিস টিভিকে ঘিরে বিতর্কের মাঝে ২০১৬ সালেই জাকির নায়েক মুম্বই ছেড়ে সৌদি আরব চলে যান। তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। বন্ধ হয় পিস টিভির সম্প্রচার। পরে জাকির নায়েক মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে মালয়েশিয়ায় জাকির নায়েকের প্রকাশ্যে চলাফেরা নিয়ে বারে বারে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মহম্মদের সঙ্গে জাকিরের ছবিও দেখা গিয়েছে।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিজেই জাকির নায়েককে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন আমাদের দেশে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের ও ধর্মের মানুষ আছে।

আমরা এমন কাউকে চাই না, যার ধর্ম সম্পর্কে কট্টর চিন্তাভাবনা রয়েছে। তাকে আবার অন্য কোথাও পাঠানোও কঠিন। কারণ অনেক দেশ তাকে চায় না।

তাঁর এই মন্তব্যের পরেই ছড়িয়েছে আলোড়ন। ধারণা করা হচ্ছে বিতর্কিত এই ইসলাম ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েককে অবিলম্বে মালয়েশিয়া থেকে সরিয়ে দিতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

পরবর্তী গন্তব্য কোথায় জাকিরের সেই বিষয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। মনে করা হচ্ছে, ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে তাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.