আর্থিক তছরূপ মামলায় অনিল দেশমুখকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ।

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন গৃহমন্ত্রী অনিল দেশমুখকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত। আর্থিক তছরূপের মামলায় অভিযুক্ত অনিল দেশমুখকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাত কাটাতে হবে।

গত সোমবার (১ নভেম্বর) ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন গৃহমন্ত্রী অনিল দেশমুখকে গ্রেফতার করেন ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। টানা ১২ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরূপের মামলার তদন্ত করছেন ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। সেই মামলাতেই নাম জড়িয়েছে এনসিপি নেতার।

এর আগে ইডির সমন এড়ানোর জন্য বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনিল দেশমুখ। কিন্তু বম্বে হাইকোর্ট সেই আবেদন বাতিল করে দিয়েছিল।

মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের পরই গত মার্চ মাসে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংকে সরিয়ে দেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। এরপরই পরমবীর সিং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লিখে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনেন। তিনি জানান, অম্বানীকাণ্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার সচিন ভাজ়ে এবং এসিপি সঞ্জয় পাটিলকে প্রতিমাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিলেন। এর জন্য মুম্বইয়ের ১৬০০ বার-রেস্তোরাঁকেও চিহ্নিত করেছিলেন তিনি।

বিষয়টি আদালত অবধি গড়ালে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তারপরই ইডিও আর্থিক তছরূপের মামলা দায়ের করে। সূত্রের খবর, ইডি আধিকারিকরা ৪ কোটি টাকা তছরূপের খোঁজ পেয়েছেন। অম্বানীকাণ্ডে অভিযুক্ত সচিন ভাজ়ের মাধ্যমে হাতবদল হয়ে তা অনিল দেশমুখের কাছে এসেছিল।

সোমবারই এক ভিডিয়ো পোস্ট করে ৭১ বছর বয়সী প্রবীণ এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখ দাবি করেন, “আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভুয়ো।” এরই মধ্যে সোমবার ম্যারাথন জেরা করা হয় তাঁকে। এরপরই জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় অনিলকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয় ইডি।

২ নভেম্বর তাঁকে আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই সময় বিচারক  পি বি যাদব এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.