ভারতে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ মার্চ থেকে, ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের দেওয়া হবে ভ্যাকসিন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হয়েছে কোভিড টিকাকরণ। প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। এই দুই পর্যায়ে মোট তিন কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। আগামী মার্চ মাস থেকে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হতে পারে বলেই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধন। এই পর্যায়ে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

সংসদে অধিবেশন চলাকালীন এই মন্তব্য করেছেন হর্ষ বর্ধন। তিনি বলেন, ২০২১-২২ কেন্দ্রীয় বাজেটে কোভিড-১৯ টিকাকরণের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন, দরকার পড়লে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে।

প্রথম পর্যায় থেকেই মসৃণভাবে টিকাকরণ চলছে বলেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “২ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের অনেক রাজ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। এই পর্যায়ে দেশজুড়ে প্রায় ২ কোটি ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকা দেওয়া হবে। আশা করা যাচ্ছে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শেষ হওয়ার পরে আগামী মাস থেকে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হতে পারে। এই পর্যায়ে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে।”

যদিও এখনই এই পর্যায়ের জন্য কোনও নির্দিষ্ট দিনের কথা ঘোষণা করা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে কোনও নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা করা কঠিন কিন্তু আশা করা যাচ্ছে মার্চের দ্বিতীয়, তৃতীয় কিংবা চতুর্থ সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে এই টিকাকরণ।”

প্রথম দুই পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে কোভিড টিকা। তৃতীয় পর্যায়েও তা বিনামূল্যে দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে হর্ষ বর্ধনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, টিকাকরণের সুবিধার জন্য ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। এই বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.