ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে মোদী জানিয়েছেন, ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ফোন কথোপকথনে পশ্চিম এশিয়ার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন মোদী। একই সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টকে উত্তেজনা প্রশমনেরও আর্জি জানিয়েছেন। শনিবার (স্থানীয় সময়) ইরানের অন্তত তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। তার পরেই ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাত অন্য মাত্রা নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইরানের প্রশাসনিক প্রধানকে ফোন করে শান্তিপ্রতিষ্ঠার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সমাজমাধ্যমের পোস্টে মোদী লেখেন, “বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মধ্যে সবিস্তার কথা হয়েছে। সাম্প্রতিক উত্তেজনাবৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। আরও এক বার আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের বার্তা দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং সুস্থিতি দ্রুত ফিরে আসুক।”
রবিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) ইরানের সঙ্গে ইজ়রায়েলের সংঘাতে যোগ দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে আমেরিকা হামলা চালিয়েছে। হামলা ‘অত্যন্ত সফল’ হয়েছে। ইরানের আকাশসীমা ছেড়ে নিরাপদে বেরিয়েও গিয়েছে আমেরিকার বিমান। এর পরেও যদি ইরান শান্তিস্থাপন না করে, তবে আগামী দিনে আরও ভয়ানক হামলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। ইরানের ফরডো, নাতান্জ় এবং এসফাহানে আমেরিকা হামলা চালিয়েছে
আমেরিকার হামলার পর ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংগঠন একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছে। ফোরডো, ইসফাহান এবং নাতান্জ়ে হামলার দায় স্বীকার করেছে আমেরিকা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করে ইরানকে তাদের বৈধ অধিকার অর্জনে সমর্থন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’’ ইরানের স্বার্থে উন্নয়ন বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পারমাণবিক শক্তি সংগঠন।