কোনও পূর্বশর্ত এবং তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসবে রাশিয়া। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি সরাসরি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলার যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তানবুলে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মস্কো-কিভ আলোচনা হওয়ার কথা। রবিবার পুতিন জানিয়েছিলেন, কোনও মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে নয় সরাসরি ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী রাশিয়া। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘আগামী ১৫ মে (বৃহস্পতিবার) তুরস্কে পুতিনের জন্য আমি অপেক্ষা করব।’’ তবে পুতিন নিজে আলোচনায় অংশ নেবেন কি না, সে বিষয়ে এখনও ক্রেমলিন কিছু জানায়নি। স্পষ্ট নয়, জ়েলেনস্কির তুরস্ক যাত্রার বিষয়টিও।
প্রসঙ্গত, রবিবার ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির দাবি তুলেছিল ইউক্রেন এবং তার সহযোগীরা। সেই তালিকায় ছিল ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, ব্রিটেনের মতো ইউরোপীয় দেশগুলি। সোমবার থেকেই তা কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয়। সেই দাবির কয়েক ঘণ্টা পরেই রবিবার পুতিন সরাসরি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তার পরেই নতুন উদ্যমে ইউক্রেনে ড্রোন হামলা শুরু করে রুশ ফৌজ।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। হামলা, পাল্টা হামলায় বিধ্বস্ত দুই দেশেরই বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার সেনা ও অসামরিক নাগরিক। ঘরছাড়া বহু ইউক্রেনীয় পোল্যান্ড ও পূর্ব ইউরোপের অন্য কয়েকটি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। সেই আবহে আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশ উদ্যোগী হয়ে যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই চেষ্টা সফল হয়নি। মাঝে কয়েক দিনের যুদ্ধবিরতি হলেও শীত শেষ হতেই নতুন করে বেড়েছে সংঘর্ষের অভিঘাত। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেও গত সপ্তাহেই তাতে ভিন্নমত স্পষ্ট করেছে মস্কো।