ইংল্যান্ড সফরের আগে দল নির্বাচন নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছেন নির্বাচকেরা। ইংল্যান্ডে ভারতের সিনিয়র দল যাওয়ার আগেই সেখানে পৌঁছে যাবে ‘ভারত এ’ দল। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলার পুরস্কার পেতে চলেছেন করুণ নায়ার। ইংল্যান্ডে ‘ভারত এ’ দলে নেওয়া হতে পারে তাঁকে। তবে শ্রেয়স আয়ার ও ঈশান কিশনের খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আইপিএল পিছিয়ে যাওয়ার ‘ভারত এ’ দলের ইংল্যান্ড সফরও পিছিয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রথমে ঠিক ছিল, ইংল্যান্ডে গিয়ে তিনটি চার দিনের ম্যাচ খেলবে ‘ভারত এ’। ৩০ মে থেকে ২ জুন ও ৬ থেকে ৯ জুন ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে খেলবে তারা। ১৩ থেকে ১৬ জুন ভারতের সিনিয়র দলের বিরুদ্ধে খেলবে ‘ভারত এ’। তার মাঝেই আইপিএল পিছিয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ৩০ মে আইপিএলের ফাইনাল হতে পারে। তেমনটা হলে আইপিএলে খেলা ক্রিকেটারদের নিয়ে ‘ভারত এ’-র দল তৈরি করা কঠিন। ফলে সেই সূচি কয়েক দিন পিছোতে পারে। জানা গিয়েছে, ১৩ মে ‘ভারত এ’ দল ঘোষণা করতে পারে বোর্ড।
গত মরসুমে বিজয় হজারে ট্রফিতে ন’টি ম্যাচে পাঁচটি শতরানের সাহায্যে ৭৭৯ রান করেছিলেন করুণ। পরে রঞ্জি ট্রফিতে ১৬টি ইনিংসে ৮৬৩ রান করেছেন তিনি। আইপিএলেও ফর্মে রয়েছেন করুণ। ফলে তাঁর ‘ভারত এ’-র দলে সুযোগ পাওয়া নিশ্চিত। ‘ক্রিকবাজ়’ জানিয়েছে, ৬ মে বৈঠকে বসেছিলেন নির্বাচকেরা। সেখানে ‘ভারত এ’-র দল নির্বাচিত হয়েছে। তবে তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
জানা গিয়েছে, বাংলার ক্রিকেটার অভিমন্যু ঈশ্বরণের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডে খেলতে যাবে ‘ভারত এ’। দলে রয়েছেন, বাংলার আকাশ দীপও। তা ছাড়া তনুশ কোটিয়ান, ধ্রুব জুরেল ও নীতীশ রেড্ডিকেও দলে রাখা হয়েছে। পরে জুরেল ও নীতীশকে ভারতের সিনিয়র দলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যেহেতু ঋষভ পন্থ ও জুরেল সিনিয়র দলে থাকছেন, তাই সেই দলে ঈশানের খেলার সম্ভাবনা নেই। একই অবস্থা শ্রেয়সকে নিয়েও। তাঁকে এখন ভাবা হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, শ্রেয়স ১৫ মাসের বেশি টেস্ট খেলেননি। তাই হঠাৎ করে তাঁকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যেতে চাইছেন না নির্বাচকেরা। তবে যদি বিরাট কোহলি ইংল্যান্ড সফরের আগে অবসর নেন, তা হলে শ্রেয়সকে দলে নেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি বাংলার মুকেশ কুমারকেও ইংল্যান্ডের দলে নেওয়া হতে পারে। তার জন্য আইপিএলে তাঁর পারফরম্যান্সের দিকে নজর রাখা হবে। একই ভাবে যশ দয়াল, খলিল আহমেদের কথাও ভাবছেন নির্বাচকেরা।