‘পাপা, পরনাম।’ খাঁটি বিহারি উচ্চারণে ‘প্রণাম’। যেমন নেটফ্লিক্সের ওয়েব সিরিজ়ে বিহারি চরিত্রদের মুখে শুনি। তার আগেই তাকে প্রশ্ন করা হয়েছে, প্রথম ফোনটা কাকে করবে? টেবো টেবো গালের মধ্যে সলজ্জ ঠোঁটজোড়া ফাঁক হল, ‘‘পাপা কো হি করতে হ্যায়।’’ অতঃপর ‘পাপা, পরনাম’। বাউন্ডারি লাইনের কাছে দাঁড়িয়ে ফোনটা লাউডস্পিকারে দিল ১৪ বছরের বালক।
কী লিখলাম? বালক? উঁহু, বালকবীর!
বীরই বটে। নইলে কি আর ইংরেজ ক্রিকেটবোদ্ধা বিস্ফারিত নেত্রে বলেন, ‘‘কভারের উপর দিয়ে টাঙিয়ে ছক্কা মারছে? এ সব হচ্ছেটা কী! একটা ১৪ বছরের ছেলের কভারের উপর দিয়ে ছয় মারার অধিকারই নেই!’’ সেই প্রতিক্রিয়ার মধ্যে কোথাও একটা ঠোঁট-চাপা ব্রিটিশ রসিকতার ছোঁয়া ছিল। কিন্তু সেই রসিকতার আড়াল থেকে মুখ বাড়াচ্ছিল অগাধ বিস্ময়! স্বাভাবিক। আইপিএল হল সেই হিরের খনি, যেখানে পাথরের খাঁজে না-কাটা হিরের কুচি মুখ গুঁজে পড়ে থাকে। কখনও-সখনও খনিশ্রমিকদের হেডল্যাম্পের আলোর ছটায় ঝিকিয়ে ওঠে। যেমন উঠেছিলেন রিঙ্কু সিংহ। ২০২৫ সালের আইপিএল কোনও হিরে খুঁজে আনতে পারেনি এত দিন। এই আনল সবে। তাই বিস্ময়!
বিহারের সমস্তিপুরের গাঁয়ের ছেলে বৈভব সূর্যবংশীর পঁয়ত্রিশ বলে সেঞ্চুরির পরে বিহ্বল ক্রিকেটবিশ্ব। ক্রিকেটের অলঙ্কার সচিন তেন্ডুলকর বলেছেন, ‘‘ওর ভয়ডরহীন মনোভাব, ব্যাট স্পিড, দ্রুত বলের লেংথ বুঝে নেওয়ার দক্ষতা আর শটের পিছনে এনার্জি ট্রান্সফার করার ক্ষমতা অবিশ্বাস্য!’’ উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে হাঁ করে সেই ভয়াবহ ইনিংস দেখা জস বাটলার বলেছেন, ‘‘দ্যাট ওয়াজ় ইনক্রেডিব্ল!’’ এক ওভারে ছয় ছক্কার রেকর্ডধারী যুবরাজ সিংহ বলেছেন, ‘‘১৪ বছর বয়সে কী করছে ছেলেটা! চোখের পলক ফেলার আগে দুনিয়ার সেরা সেরা বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করে দিচ্ছে। অবিশ্বাস্য!’’ ৩৬০ ডিগ্রির ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব বলেছেন, ‘‘একটা বাচ্চা ছেলে যে এই তাণ্ডব চালাতে পারে, না দেখলে বিশ্বাস করতাম না।’’ কম কথার মানুষ রোহিত শর্মা আরও কম শব্দে বর্ণনা করেছেন, ‘‘ক্লাস!’’
ইনিংসটা দেখতে দেখতে ভাবছিলাম, ১৪ বছর বয়সে নিজে খেলার মাঠে কী করেছিলাম? জীবন রিওয়াইন্ড করে দেখতে পেলাম নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ক্লাস এইটের ছাত্রকে। যে মিশন টিমের হয়ে ফুটবল আর ক্রিকেট ম্যাচে খেলত ফি রবিবার। এবং সেই বাঁশবনের শেয়ালরাজা হয়ে সুখে কালাতিপাত করত। দু’বছর পরে আবাসিক স্কুল ছেড়ে আসার পরে সে ফুটবলটা ছেড়ে দিল, শখের ক্রিকেট জারি রাখল এবং পাশাপাশি হিন্দি ছবি সংক্রান্ত যাবতীয় ‘ব্যাকলগ’ দ্রুত মিটিয়ে ফেলবে বলে ঠিক করল। এই ধরনের ছোঁড়াদের জীবন এর পর খুব প্রত্যাশিত খাতে বয়ে যায়। মোটামুটি লেখাপড়া। প্রথম প্রেম। চায়ের দোকানে ঠেক। তার পরে একটা চাকরি জুটিয়ে জীবন-নদীতে নৌকা নিয়ে ভেসে পড়া।
ফ্ল্যাশব্যাক দেখতে দেখতেই বৈভবের কথা ভাবছিলাম। সমস্তিপুরের মোতিপুর নামক এক গ্রামের সন্তান। বাবার সঞ্জীবের সফল ক্রিকেটার হওয়ার ইচ্ছা ছিল। পারেননি। ব্যর্থ ক্রিকেটারের জিন দেহে বহন করা পুত্র চার বছর বয়সে ক্রিকেট শুরু করল। কোচ বাবা স্বয়ং। ন’বছর বয়সে (পুত্রের ক্রিকেট-স্বপ্ন সফল করার জন্য সঞ্জীব তত দিনে নিজের জমি বিক্রি করে দিয়েছেন) সে গেল বাড়ি থেকে ১০০ কিলোমিটারের দূরত্বে পটনার ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। সেই দূরত্বের কারণেই (যাতায়াত মিলিয়ে ২০০ কিলোমিটার) এক দিন অন্তর অন্তর সে যেত অ্যাকাডেমিতে। দূরত্বের কারণেই কাকভোরে ওঠা (মা উঠতেন তারও আগে। ছেলের খাবারটা তৈরি করে দিতে হবে)। পটনার অ্যাকাডেমিতে কোচ মণীশ ওঝার তত্ত্বাবধানে সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু অনুশীলন। খাটুনি শেষ সন্ধ্যায়। তার পরে আবার ১০০ কিলোমিটার ঠেঙিয়ে সমস্তিপুরের বাড়িতে ফেরা। এক দিন বাদ দিয়ে আবার যাত্রা। টানা চার বছর সেই ধকল সহ্য করে ক্রিকেটার হয়েছে বৈভব। সেই ধকল এবং হাড়ভাঙা পরিশ্রমের অংশ হয়ে থেকেছে তার পরিবার। মাঠে-মাঠে, ম্যাচে-ম্যাচে ছেলের সঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছেন সঞ্জীব।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বৈভবের অভিষেক ২০২৪ সালে। বিহারের হয়ে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। তখন বয়স ১২ বছর ২৮৪ দিন। ১৩ বছর ২৪১ দিন বয়সে বিহারের হয়ে টি টোয়েন্টিতে অভিষেক। প্রতিপক্ষ রাজস্থান। সেটা ২০২৪ সালের নভেম্বর। তার আগে অবশ্য সেপ্টেম্বরে অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিল এই বালক। অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে ৫৮ বলে সেঞ্চুরি করে বসে সে। ওহ, বিহারের স্থানীয় এক টুর্নামেন্টে অপরাজিত ট্রিপল সেঞ্চুরিও আছে তার।
এ সব দেখেই নিলামে ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা দিয়ে বৈভবকে কিনেছিল রাজস্থান রয়্যালস। মাঠে নামার আগেই তার কথা শোনা গিয়েছিল আইপিএলের রসিক বিজ্ঞাপনে ধোনি আর সঞ্জু স্যামসনের কথোপকথনে (ধোনি: শুনলাম, একটা তেরো বছরের ছেলেকে খেলাচ্ছিস? ওর জন্মের আগেই তো আমার আইপিএল জেতা হয়ে গিয়েছিল রে। জবাবে সঞ্জু: চিন্তা কোরো না মাহিভাই, তোমার রিটায়ারমেন্ট আসতে আসতে বাচ্চাটাও আইপিএল ট্রফি জিতে নেবে)। আইপিএল অভিষেকে প্রথম বলেই শার্দূল ঠাকুরকে লং অফের উপর দিয়ে সাঁটিয়ে ছক্কা। কমেন্ট্রি বক্সে শেন ওয়াটসন যখন বলছিলেন, ওই শটটা মারতে তাঁর পঁয়ত্রিশ বছর লেগে গিয়েছে, ভাবছিলাম, বড্ড বাড়াবাড়ি করছেন।
সেই ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে এসে চোখে জল চলে এসেছিল বালকের। কিন্তু গুজরাত টাইটানসের বিরুদ্ধে যে ধ্বংসলীলা ১৪ বছরের ব্যাট থেকে বেরোল, দেখে নিজের চোখকেই বিশ্বাস হচ্ছিল না! ভাঙা পা ভুলে রাহুল দ্রাবিড় চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন ডাগ আউটে। মুষ্টিবদ্ধ দু’হাত মাথার উপর তুলে ঝাঁকাচ্ছেন। মনে হচ্ছিল, টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের রাতেই ফিরে গিয়েছেন বুঝি। বহু দূরে টিভির সামনে বসা এক মধ্যবয়সি ক্রিকেট শিক্ষার্থীর মনে হচ্ছিল কাঁধ, বাহু, কোমর এবং দুই উরুতে কতখানি শক্তি অর্জিত থাকলে ওই রকম সব শটের বিস্ফোরণ হয়! সে সব শটের এমন তাগদ যে, মিস্হিটও ছক্কা হয়ে উড়ে উড়ে যাচ্ছে। বিদগ্ধেরা বলবেন, অফসাইডটা তুলনায় একটু দুবলা। কিন্তু তাতেই বা কে রুখতে পারল ৩৫ বলে সেঞ্চুরি! অনসাইডে স্রেফ কব্জির মোচড়ে যদি কেউ স্কোয়্যার লেগ থেকে মিড উইকেটের উপর দিয়ে গ্যালারিতে ধারাবাহিক বল ফেলতে থাকে (মনে রাখুন, বেধড়ক ঠ্যাঙানি-খাওয়া বিপক্ষ শিবিরে যে বোলারেরা ছিলেন, তাঁদের মিলিত আন্তর্জাতিক ম্যাচের সংখ্যা ৬৭৪। তাঁদের নাম ক্রিকেটগ্রহে সকলে জানেন— মহম্মদ সিরাজ়, রশিদ খান এবং ইশান্ত শর্মা), তা হলে তার অফসাইডে ‘ঈশ্বর’ না হলেও চলে।
ক্রিকেটবিশ্ব জুড়ে শোরগোল। উচ্ছ্বসিত সমস্তিপুর, অভিভূত বিহার, উদ্বেল গোটা দেশ। নাসের হুসেন, মার্কাস ট্রেসকোথিকের মতো নাকউঁচু ইংরেজ ধারাভাষ্যকারেরাও উপযুক্ত বিশেষণ খুঁজে পাচ্ছেন না। গুগ্ল সার্চে শুধু নামটা টাইপ করলেই এক নম্বরে ভেসে আসছে বৈভব সূর্যবংশী।
মাত্র তিন দিনের মধ্যে আকাশ থেকে সেই বালকবীর রুক্ষ মাটিতে আছড়ে পড়ল! মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে শূন্য! মেয়াদ মাত্র দু’টি বল। দীপক চাহারের গুডলংথ ডেলিভারি তুলে মারতে গিয়ে ব্যাটটা সামান্য চেত্তা খেয়ে গেল। গ্রিপটাও কি একটু ঘুরে গিয়েছিল? ব্যাটের নীচের দিকে (টো এন্ড) লেগে মিড অনে একটা সহজ ক্যাচে শেষ হয়ে গেল বৈভবের ইনিংস। গোটা মাঠ থমকে গিয়েছে। গ্যালারিতে সার সার ম্লান, মূঢ় এবং মূক মুখ। স্থাণু হয়ে কিছু ক্ষণ ক্রিজ়ে দাঁড়িয়ে থেকে ডাগ আউটের দিকে রওনা হল ১৪ বছরের বালক।
সারা দুনিয়া যখন হায়-হায় করছে, গুগ্ল সার্চে ‘বৈভব’ টাইপ করলে প্রথমে আসছে বৈভব চট্টোপাধ্যায়, দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার (কিমাশ্চর্যম) বৈভব অরোরা এবং তৃতীয় বৈভব সূর্যবংশী, তখন মনে হচ্ছিল, ১৪ বছরের বালক অতীব ভাগ্যবান। সর্বোচ্চ মঞ্চে খুব দ্রুত শিক্ষালাভ করে ফেলল। জীবনের মতোই ক্রিকেটও ভারসাম্য রক্ষা করে চলে, ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা ইত্যাদি শিক্ষা এখন তামাদি হয়ে গিয়েছে। এই সময়ের ক্রিকেট নির্মম! এই ক্রিকেটে রোম্যান্সের কোনও জায়গা নেই। এই ক্রিকেট নির্দয়। এই ক্রিকেট সেঞ্চুরির মিনার থেকে শূন্যের জমিতে ছুড়ে ফেলতে সময় নেয় মাত্র একটা ম্যাচ। তখন ভোজবাজির মতো চারপাশ থেকে মিলিয়ে যায় সমস্ত রোশনাই। প্রতিভা শুয়ে থাকে মাইক্রোস্কোপের তলায়। উড়ে আসতে থাকে বিবিধ পরামর্শ, সাবধানবাণী এবং ‘আগেই তো বলেছিলাম’ মার্কা জ্ঞানী কটাক্ষ। যেমন সুনীল গাওস্কর বলেছেন, আরও একটা আইপিএল যাক। তার পরে বৈভবকে ভারতীয় দলে নেওয়ার নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা যাবে না-হয়। অর্থাৎ, সাফল্যটা ‘ফ্লুক’ কি না, সেটাও দেখে নেওয়া দরকার।
মনে হচ্ছিল, বৈভব খুব দ্রুত শিখে ফেলল, ক্রিকেট যেমন দু’হাত উজাড় করে দেয়, তেমনই রিক্তও করে। ওই যে একটা বিজ্ঞাপনে ছয় ছক্কার মালিক যুবরাজ বলেছিলেন, ‘‘যব তক বল্লা চল রহা হ্যায়, ঠাট হ্যায়!’’ যদ্দিন ব্যাট চলবে, তদ্দিন বোলবোলাও থাকবে। বৈভব শিখে ফেলল, সবসময় ৩৫ বলে ১০০ হয় না। এমনকি, ১ রানও হয় না। তাই ক্রিকেটের কাছে সতত নতজানু থাকতে হয়।
এই লেখা যে দিন প্রকাশিত হবে আনন্দবাজার ডট কম-এ, সেই দিন রবিবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থানের ম্যাচ। শুক্রবার কলকাতায় পৌঁছোনো রাজস্থান রয়্যালসের একটা ভিডিয়ো দেখছিলাম। ক্যামেরা ধরেছে টিম বাসে জানলার পাশের সিটে বসা বৈভবকে। কানে এয়ারপড। দৃষ্টি সামনে নিবদ্ধ। কাচ ভেদ করে আসা শেষ বিকেলের আলোয় একটা চলন্ত সিল্যুয়েট তৈরি হয়েছে।
দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরি-উত্তর ফোনের কথোপকথনের দৃশ্য। ‘পরনাম’ জানিয়ে পাপার সঙ্গে কথা বলে বৈভব বলল, ‘‘রোমিস্যর কো দে রহা হুঁ।’’ ফ্রেমে এলেন রাজস্থান রয়্যালসের ম্যানেজার রোমি ভিন্দের। উচ্ছ্বসিত গলায় তিনি সঞ্জীবকে বলছিলেন, ‘‘এখন তো নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে সারা সমস্তিপুর থেকে ফোন আসছে! আপনি শুধু দেখুন, এই বাচ্চা কোথায় পৌঁছয়! এখন আপনারা-আমরা একটা পরিবারের মতো। আমরা সকলে মিলে ওকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেব। বলেছিলাম না, ওকে আমাদের হাতে দিন? দেখুন, কী করেছে আপনার ছেলে!’’
শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, এতে তো সত্যিই নেটফ্লিক্সের রোমহর্ষক সিরিজ় হওয়ার মশলা আছে। এ তো পিছন থেকে এসে আন্ডারডগের লড়াই জেতার কাহিনির শুরু। যে কাহিনিতে শুরুতেই এমন নাটকীয় মোচড়! এই পর্বতশৃঙ্গ তো এই পতনোম্মুখ গভীর খাদ। বিহারের সমস্তিপুরের গ্রাম থেকে এসে বিশ্বের ধনীতম ক্রিকেট লিগে মাত্র ১৪ বছর বয়সে দ্রুততম সেঞ্চুরি করে নিজের আবির্ভাবের ঝান্ডা পুঁতে দেওয়া। তার বাহাত্তর ঘন্টার মধ্যে স্বর্গ হইতে পতন। আবার তার তিন দিনের মধ্যে ইডেন গার্ডেন্সে পরের পরীক্ষায় বসা। যে পরীক্ষার হল-এ ১৪ বছরের বালক বায়না (বায়নাই লিখলাম। হাজার হোক, ১৪ বছরেরই তো) ধরেছে, বাবা-মা আর কোচকে আসতেই হবে (তাঁদের সঙ্গে কথা বলে চমৎকার কপি করেছে আনন্দবাজার পত্রিকার অনুজপ্রতিম সাংবাদিক ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত)। সে সমস্ত ব্যবস্থা করে রেখেছে। অর্থাৎ, একটা শূন্য তার মধ্যে ঠকঠকানি ধরাতে পারেনি।
টিম বাসের জানালার ধারে বসা ছায়া-ছায়া সেই অবয়ব ভেদ করে ইডেনেই বালকবীরের অভ্যুত্থান ঘটুক না হয়। নেটফ্লিক্সের সিরিজ়টা তো সেখান থেকেই শুরু হতে পারে!