গত ম্যাচে সাফল্যের শিখরে ছিল বৈভব সূর্যবংশী। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বাস্তবের কঠিন জমিতে আছড়ে পড়তে হল। নেপথ্যে দীপক চহর। আগের ম্যাচে শতরান করেছিল, বৃহস্পতিবার শূন্য রানে সাজঘরে ১৪ বছরের বৈভব। এটাই বাস্তব। আইপিএল যেমন সাফল্য দেবে, তেমনই কঠিন পরীক্ষাও নেবে। জীবনে যেমন উত্থান-পতন রয়েছে, ক্রিকেটও সেই পাঠ দেয়। বৈভব সেই শিক্ষাই পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বৈভবের বিপক্ষে ছিলেন যশপ্রীত বুমরাহ, ট্রেন্ট বোল্টের মতো বোলারেরা। ছিলেন হার্দিক পাণ্ড্যও। কিন্তু তাঁরা বল করতে আসার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয় বৈভবকে। ১৪ বছরের বিস্ময় বালককে দেখতে জয়পুরে বৃহস্পতিবার খেলা দেখতে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ফুটবল দলের প্রাক্তন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। গত ম্যাচে ৩৫ বলে শতরান করে বৈভব। যে ভাবে একের পর এক ছক্কা মারে ইশান্ত শর্মা, রশিদ খানদের তাতে অবাক হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেটবিশ্ব।
শতরান করে বৈভবও বুঝতে পারছিল, এত বড় মঞ্চে সাফল্য পেলে কী ভাবে চারিদিকে চর্চা শুরু হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার পর নিশ্চয়ই বুঝবে সব ম্যাচে নামলেই সাফল্য পাওয়া যাবে না। খেলার মাঠে সাফল্য এবং ব্যর্থতা হাত ধরাধরি করে চলে। দু’টিকে সমান ভাবে স্বীকার করা প্রয়োজন। প্রথম ম্যাচে আউট হয়ে কেঁদে ফেলেছিল সে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে আউট হয়ে চোখে জল দেখা যায়নি।
গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে বৈভব একের পর এক ছক্কা মারছিল। তার ইনিংসে কোনও ভয়ডর ছিল না। বরং ইশান্ত, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণদের লাইন, লেংথ ঘেঁটে দিয়েছিল সে। বৃহস্পতিবার আশা ছিল আরও এক বার বিস্মিত হতে হবে। কিন্তু ২ বলের বেশি বৈভব টিকতে পারেনি। চহরের স্লোয়ার বুঝতে পারেনি। মিড অনের উপর দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে উইল জ্যাকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে দেয়। হতাশ মুখে তাকিয়ে ছিল। বুঝতে পারছিল তার জন্য তৈরি হয়েই নেমেছিল মুম্বই। চহরের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছে। কিন্তু তত ক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে।