বন্ধুত্বের প্রতিদান দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার গভীর রাতে তাঁর সাড়ে তিন ঘণ্টার সাক্ষাৎকার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের সমাজমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিলেন। সোমবার মোদী যোগ দিলেন ট্রুথ সোশ্যালে।
রবিবার মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মোদী। সেখানে গোধরা-পরবর্তী গুজরাট হিংসার কথা থেকে আরএসএসের প্রচারক হওয়া পর্যন্ত নানা বিষয়েই মোদী মুখ খুলেছিলেন। ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের কারণও ব্যাখ্যা করেছিলেন মোদী। বলেছিলেন, ‘‘ট্রাম্প আমেরিকার স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেন। আমি অগ্রাধিকার দিই ভারতের স্বার্থকে।’’
সেই সাক্ষাৎকার পোস্টের পরেই ট্রাম্পের সমাজমাধ্যমে যোগ দিয়ে দু’জনের যৌথ কর্মসূচির ছবি পোস্ট করেছেন মোদী। লিখেছেন, ‘‘ট্রুথ সোশ্যালে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত! এখানকার সব উৎসাহী কণ্ঠস্বরের সঙ্গে আলাপচারিতা এবং আগামিদিনে অর্থপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’’
ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে টেক্সাসের হিউস্টনে ‘হাউডি মোদী’ সভায় প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও প্রবাসী ভারতীয়ের সামনে কূটনীতির বেড়া টপকে ‘অব কি বার ট্রাম্প সরকার’ স্লোগান দিয়েছিলেন মোদী। বলেছিলেন, ‘‘ট্রাম্পের নেতৃত্বগুণ, আমেরিকাকে নিয়ে ওঁর আবেগ, দেশের নাগরিকদের জন্য ওঁর উদ্বেগ এবং আমেরিকাকে ফের মহান করে তোলার জন্য ওঁর মনের তাগিদ আমাকে অনুপ্রাণিত করে।’’
২০২০-স অগস্টে প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচন চেয়ে ট্রাম্পের ‘আরও চার বছর’ (ফোর ইয়ার মোর) প্রচারের সূচনায় ‘ভিডিয়ো ক্যাম্পেনিং’-এ তুলে ধরা হয়েছিল ট্রাম্প-মোদীর সেই যৌথ জনসভার নানা ক্লিপিংস। তার আগেই ২০২০-র ফেব্রুয়ারিতে দু’দিনের ভারত সফরে এসে গুজরাতের মোতেরায় মোদীর নামাঙ্কিত পুনর্নির্মিত ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন ট্রাম্প এবং তৎকালীন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। সেখানে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েতে মোদী দাবি করেছিলেন, তিনি এবং ট্রাম্প মিলে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবেন। যদিও দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে অন্য দেশের পাশাপাশি ভারতের বিরুদ্ধেও কড়া শুল্কনীতি প্রয়োগের ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।