দোষী সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে আদালতে রাজ্যের আবেদন কি গ্রহণযোগ্য! শুক্রে রায় ঘোষণা হাই কোর্টের

আরজি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম নয় বলে মন্তব্য করে ফাঁসির সাজা দেয়নি নিম্ন আদালত। নিম্ন আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করে রাজ্য। তারা সঞ্জয়ের ফাঁসি চায়। রাজ্যের এই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে কি না, তা নিয়ে শুক্রবার রায় ঘোষণা করবে কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় রায় ঘোষণা। রায় দেবে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

শিয়ালদহ আদালত সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যায় রাজ্য। আবেদনে বলা হয়, সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় যথার্থ নয়। তাকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হোক। রাজ্যের আবেদনের বিরোধিতা করে সিবিআই। এই মামলায় রাজ্যের আইনি অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। পাল্টা যুক্তি দেয় রাজ্যও। অন্য দিকে, রাজ্য ও সিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ সাজা চায়নি নির্যাতিতার পরিবার। তাদের আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, ‘‘রাজ্য এবং সিবিআইয়ের আবেদন নিয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। তাদের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে কি না, তা আদালত ঠিক করবে। রাজ্য এবং কেন্দ্রের এই আবেদন সংক্রান্ত মামলায় আমরা সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ সাজা চাই না।’’

গত সপ্তাহে ওই বিষয়ের উপর শুনানি শেষ হয় বিচারপতি বসাকের বেঞ্চে। রায় ঘোষণা স্থগিত ছিল। শুক্রবার ওই মামলার রায় দেবে উচ্চ আদালত।

শিয়ালদহ আদালত সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করলেও ফাঁসির শাস্তি দেয়নি। বিচারক অনির্বাণ দাস জানিয়েছিলেন, সঞ্জয়ের অপরাধ প্রমাণিত। কিন্তু এটি ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ ঘটনা নয়। তাই মৃত্যুদণ্ড দেননি তিনি। আমৃত্যু সঞ্জয়কে কারাবাসের নির্দেশ দেয় আদালত। এই রায়কেই হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার। সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানায় তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.