মহাকুম্ভে ঘটল পদপিষ্টের ঘটনা। মৌনী অমাবস্যায় ‘অমৃত স্নান’ করার হুড়োহুড়ি গঙ্গা, যমুনা, এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী— তিন নদীর সঙ্গমে। তাতেই বিপত্তি। বুধবার ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করতে গিয়ে পদপিষ্টের ঘটনায় অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত আরও অনেক পুণ্যার্থী। র্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে প্রশাসন।
মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে কোটি কোটি মানুষের ভিড় হয়েছিল প্রয়াগরাজে। বুধবার ত্রিবেণী সঙ্গমে ‘অমৃত স্নান’ করতে জড়ো হয়েছিলেন পুণ্যার্থীরা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেই পুণ্যার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আচমকা ধাক্কাধাক্কি শুরু হওয়ায় ভিড়ের মধ্যে আটকে পড়েন অনেকে। দুর্ঘটনার পর পরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়। আহতদের উদ্ধার করে মেলা প্রাঙ্গণেরই হাসপাতালে আনা হয়। মেলার প্রাঙ্গনের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, অনেককেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
ত্রিবেণী সঙ্গমে মৌনী অমাবস্যায় স্নান করতে দূরদূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা ভিড় করেছিলেন মহাকুম্ভে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রয়াগরাজে ভিড় বাড়তে থাকে। প্রশাসনের তরফে বার বার ঘোষণা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে মেলা প্রাঙ্গণের অনেক ব্যারিকেড ভেঙে গিয়েছে। মঙ্গলবার মাঝরাত থেকেই বহু পুণ্যার্থী ত্রিবেণী সঙ্গমে ভিড় করতে শুরু করেন। রাত ২টো নাগাদ পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর প্রশাসন সূত্রে। ঘটনাস্থলে একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। চলছে উদ্ধারকাজ।
গত ১৯ জানুয়ারি কুম্ভমেলায় আগুন ছড়িয়েছিল। ১৯ নম্বর সেক্টরে গীতা প্রেসের তাঁবু জ্বলে উঠেছিল দাউদাউ করে। সেখান থেকে আশপাশের কিছু তাঁবুতেও আগুন ছড়ায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫০টিরও বেশি তাঁবু। তাঁবুগুলির ভিতর থেকে পর পর সিলিন্ডার ফাটার শব্দও পাওয়া যাচ্ছিল। মহাকুম্ভ উপলক্ষে প্রয়াগরাজে এই মুহূর্তে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড়। বিস্তীর্ণ মেলাপ্রাঙ্গণকে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করে নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও করে রাখা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সর্বক্ষণ মোতায়েন রয়েছেন দমকলকর্মীরা। অগ্নিকাণ্ডের পর পদপিষ্টের ঘটনা— কুম্ভমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে।