Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে ঝুলেই রইল ২৬ হাজার চাকরিহারাদের ভবিষ্যত্‍!

 চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কবে? সুপ্রিম কোর্টে ঝুলেই রইল ২৬ হাজার চাকরিহারাদের ভবিষ্যত্‍! মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ফ্রেরুয়ারি, দুপুর ২টোয়। সেদিনই অবশ্য শুনানি শেষ করার আশ্বাস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তারপর রাষ ঘোষণা।

এর আগে, যেদিন মামলাটির শুনানি হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে, সেদিন সওয়াল করেছিলেন চাকরিহারাদের পক্ষের আইনজীবীরা। আজ, মামলাকারীদের বক্তব্য শুনল শীর্ষ আদালত। সওয়াল করলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, মহম্মহ শামিম-সহ অন্য আইনজীবীরা। মামলাকারীদের তরফে অভিযোগ, ‘এক ‘একজন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৭-৮ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। যার ফলে একটি পক্ষ কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা তুলেছে’। পরবর্তী শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের বক্তব্য জানাবে রাজ্য সরকার, এসএসসি ও সিবিআই।

শুনানি শেষে মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী মহম্মদ শামিম বলেন, ‘নিয়ম বর্হিভূতভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ করেছেন। একেবারে ইন্টারভিউ লিস্ট থেকে শুরু, মেধাতালিকা, প্যানেল, ওয়েটিং লিস্ট, আইন মেনে প্রকাশ করা হয়নি। তাঁরা বলছে, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শুধুমাত্র অষ্টম দফায় কাউন্সেলিং-এ কিছু নিয়োগ হয়েছে। তা তো নয়, দ্বিতীয় দফার পর যতগুলি কাউন্সেলিং হয়েছে, সব প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর’।

শামিম জানান, ‘আমরা বলেছি, এই প্রক্রিয়া নিয়ম বর্হিভূতভাবে নিয়োগ করেছে। আমি দেখিয়েছি, স্কুল সার্ভিস কমিশন ও বোর্ডে যে তথ্য দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের সামনেই সেই তথ্য-ও সঙ্গতিপূর্ণ নয়। স্কুল সার্ভিস কমিশন বলছে. ৫,৪৮৭ জনকে বেআইনি নিয়োগ দিয়েছে। বোর্ড বলছে, ৫.১৮৯ জন’। তাঁর দাবি, ‘প্যানেলের মেয়াদ থাকে ১ বছর। নবম-দশম ক্ষেত্রে ৮ কাউন্সেলিং হয়েছে, একাদশ-দ্বাদশে ৬ কাউন্সেলিং। ৪ কাউন্সেলিং একাদশ-দ্বাদশ এবং নবম-দশম ক্ষেত্রে ৬ কাউন্সেলিং সম্পূর্ণভাবে মেয়াদ শেষে হওয়ার পর। স্কুল সার্ভিস কমিশন, বোর্ড আর সরকার সঠিক তথ্য নিয়ে আদালতের সামনে আসছে না। সেটা না থাকলে গোটাটা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই প্রভূত’।

মামলাকারীদের পক্ষে আর এক আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আজই সমাপ্ত হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। হল না, যাই হোক। ৩ তারিখে ডেট দিচ্ছিলেন, অনেকে বললেন তাঁরা নাকি সরস্বতী পুজো নিয়ে ব্য়স্ত থাকবেন। ১০ তারিখে ডেট দিয়েছে’। তাঁর কথায়, উত্‍সটা যদি দুর্নীতি হয়, তাহলে সেই দুর্নীতিমূলক সিস্টেম থেকে ভালো মন্দ বাছা যায় না। তার মানে আমি বলে দিচ্ছি, এরা দুর্নীতি করেছে, এরা করেনি। সম্ভব! সরকার বলতে পারে’!

ঘটনাটি ঠিক কী? গত বছরের এপ্রিলে এসএসসি দুর্নীতি মামলা   ২০১৬ সালে প্য়ানেলের বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। সঙ্গে চার সপ্তাহের মধ্যে ১৩ শতাংশ সুদ-সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ চাকরি প্রাপকদের। কিন্তু প্য়ানেল বাতিল হওয়ার চাকরি হারিয়েছেন বহু যোগ্য প্রার্থীরাই। পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে রাজ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.