হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV) চিন-সহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলি আতঙ্কের মধ্যে ছিল। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। HMPV-তে আক্রান্ত হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়ে বলে জানা গিয়েছে। মহাখালির সংক্রামক ব্যাধি হাসাপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন ৩০ বছরের সানজিদা আক্তার। গত বুধবার ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরিফুল বাশার এই খবর জানিয়েছেন।
করোনার বছর পাঁচেক পর ফের এই নতুন ভাইরাসের ভ্রুকুটি। । এবং ফের সেই চিন। উপসর্গ প্রায় করেনাার মতোই। সেই শ্বাসকষ্ট, মাস্ক, স্যানিটাইজার ফিরেছে শি জিং পিংয়ের দেশে।
উল্লেখ্য, এই ভাইরাস ২০০১ সালে প্রথম লক্ষ্য করা যায়। করোনা, সাধারণ ফ্লু বা ইফ্লুয়েঞ্জার মতই হল এইচএমপিভি। তাই বোঝা শক্ত আপনি কীসে আক্রান্ত। উপসর্গ সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতই। নিউমোনিয়ার মতই এর গতিপ্রকৃতি। শ্বাসযন্ত্রের উপর ও নীচের অংশে এটি সংক্রমণ সৃষ্টি করে।
হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস এর সংক্রমণ হলে সাধারণভাবে সর্দি হয়, প্রচুর কফ উঠতে পারে, বারবার নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি গলায় ব্যথা, জ্বর, কোনও কোনও ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে কারও যদি ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া বা অ্যাজমা থাকে তাহলে তা বেড়ে যেতে পারে।
এইচএমপিভিতে সব বয়সের মানুষ সংক্রমিত হতে পারে, তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হতে পারে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বিশেষ করে শিশু। বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের, বিশেষ করে যারা ৬৫ বছরের বেশি। দুর্বল ইমিউন সিস্টেম বা হাঁপানি বা সিওপিডির মতো দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের অবস্থার মানুষ।
প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ায় HMPV কেস বাড়ছে, ২০২৪ সালে ৩২৭ টি রিপোর্ট করা হয়েছে, ২০২৩ সালে করা ২২৫ কেসের থেকে ৪৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ভাইরাসের সাধারণ সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ, তবে গুরুতর শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে কখনও। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, যেমন হাত ধোয়া এবং মাস্ক পরা, বিস্তার না হওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্ট্রেইটস টাইমস অনুসারে, এরকম পরিস্থিতিতে নিজের দেশে বেশকিছু গাইডলাইন জারি করেছে মালয়েশিয়া সরকার। সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জনসাধারণকে সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া, মুখের মাস্ক পরা এবং কাশি বা হাঁচির সময় মুখ ও নাক ঢেকে রাখা-সহ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রক, “জনসাধারণকে সক্রিয়ভাবে তাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার এবং অন্যদের সংক্রমণ প্রতিরোধ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, বিশেষ করে ঘেরা এবং জনাকীর্ণ এলাকায়। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিতে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”