ক্যানসার আক্রান্ত পরীক্ষার্থীর অঙ্ক পরীক্ষার উত্তরপত্রের একাংশ হারিয়ে ফেলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর দ্বিগুণ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। অঙ্কে লিখিত পরীক্ষায় ৩৫ নম্বর পেয়েছিলেন পরীক্ষার্থী। তা বেড়ে হল ৭০। এ ছাড়া প্রজেক্টে পেয়েছিলেন ২০। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের নির্দেশে পরীক্ষার দু’বছর পরে অঙ্কে লেটার পেলেন ওই পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষার্থীর নাম বর্ষণ চক্রবর্তী। তাঁর বাড়ি কৃষ্ণনগরে। ২০১৬ সাল থেকে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। ২০২২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরে অঙ্কের নম্বর দেখে খটকা লেগেছিল বর্ষণের। লিখিত পরীক্ষায় তিনি ৮০ নম্বরে ৩৫ পেয়েছিলেন। অঙ্কের খাতা রিভিউ করতে দিয়েছিলেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ তাঁকে খাতার ফোটোকপি দেখায়। সে সময় বর্ষণ লক্ষ করেন, পরীক্ষার সময়ে যে অতিরিক্ত পাতা (লুজ় শিট) তিনি নিয়েছিলেন, তা নেই। পরীক্ষার সময় তিনটি অতিরিক্ত পাতা নিয়েছিলেন তিনি। সেগুলি ফোটোকপিতে যুক্ত নেই।
বর্ষণ উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের কাছে দাবি করেন, অতিরিক্ত পাতায় যে অঙ্কগুলি তিনি করেছিলেন, তার নম্বর দিয়ে দেওয়া হোক। যদিও সংসদ তাতে রাজি হয়নি। এর পরেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বর্ষণ। অঙ্কের লিখিত পরীক্ষায় আগে যা পেয়েছিলেন, সেই নম্বর হাই কোর্টের নির্দেশে দ্বিগুণ হয়। উচ্চ মাধ্যমিকে অঙ্কে তিনি আগে মোট পেয়েছিলেন ৫৫। ৩৫ নম্বর লিখিত পরীক্ষায়, ২০ নম্বর প্রজেক্টে। এখন সেই নম্বর বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯০। উচ্চ মাধ্যমিকে মোট ৩৯৭ পেয়েছিলেন বর্ষণ। এখন ৪৩২ নম্বর হয়েছে তাঁর।