আরজি করে যখন তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ ও খুনে উত্তাল গোটা, তখন বাসে গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা! ড্রাইভার, কডাক্টর-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডে দেরাদুনে।
জানা গিয়েছে, গত ১৩ অগাস্ট দেরাদুনের বাস টার্মিনালের কাছে একটি দোকানে বসেছিল ওই নাবালিকা। চোখে-মুখে বিরক্তি, বিধ্বস্ত চেহারা। সঙ্গে ছিল এক ব্য়ক্তি। তাঁর চালচলনও ছিল যথেষ্ট সন্দেহজনক। চাইল্ড হেল্ফ লাইনে নম্বর ফোন আসে। সেই ফোনেই বিষয়টি জানতে পারে পুলিস। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে যে ছিল, তাঁকেও হেফাজতে নেওয়া হয়।
দেরাদুনের এসএসপি অজয় সিং জানিয়েছেন, উদ্ধারের পর ওই নাবালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় একটি হোমে। ২-৩ দিন সে নিজেই পুলিসকে জানায়, ৫ জ জন মিলে তাকে ধর্ষণ করেছে! এরপর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পসকো আইনে মামলা রুজু করে শুরু হয় তদন্ত। পুলিসি তদন্তেও গণধর্ষণের প্রমাণ মেলে। অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ওই বাসে চালক, কডাক্টর, অন্য় বাসের দুই চালক-সহ ৫ জনকে।
পুলিস সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে দেরাদুনগামী একটি বাসে ঘটনা ঘটেছে। বাসটি তখন টার্মিনাসেই দাঁড়িয়েছিল। অজয় সিং জানিয়েছে, ‘নির্যাতিতার গ্রামে খোঁজ মিলেছে। বাবা-মা জীবিত। তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছে’।