আনন্দপুরের রেস্তরাঁয় হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে ধরল পুলিশ, ধৃতের সংখ্যা বেড়ে তিন

আনন্দপুরের রেস্তরাঁয় দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল তিন জন। এর আগে মঙ্গলবার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই মূল অভিযুক্তের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।

সোমবার রাতে আনন্দপুর এলাকার একটি রেস্তরাঁয় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রেস্তরাঁর ম্যানেজার নারায়ণ সিংহ এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, সঞ্জয় দাস নামের এক ব্যক্তি সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দলবল নিয়ে তাঁর রেস্তরাঁয় হামলা চালান। তাঁর সঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন ছিলেন। প্রত্যেকের হাতে লাঠি ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পেয়েছে পুলিশ। তা দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।

অভিযোগ, রেস্তরাঁয় ঢুকে কোনও কারণ ছাড়াই ভাঙচুর শুরু করে দুষ্কৃতীরা। সেখানকার কর্মীদের মারধর করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় সিসি ক্যামেরাও। শুধু তা-ই নয়, রেস্তরাঁর বাইরে দাঁড় করানো কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। কী কারণে এই হামলা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রেস্তরাঁর কয়েক জন কর্মী জখম হয়েছেন।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার দীপঙ্কর দাস এবং মহীন্দ্রপ্রসাদ গুপ্ত নামের দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল আনন্দপুর থানর পুলিশ। দু’জনেই আনন্দপুরের বাসিন্দা। বুধবার ধরা পড়লেন মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ও। তিনি নেতাজি সুভাষনগর কলোনির বাসিন্দা। হামলার নেতৃত্বে তিনিই ছিলেন বলে অভিযোগ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে কোন আক্রোশ থেকে রেস্তরাঁয় ভাঙচুর চালালেন সঞ্জয় এবং তাঁর সঙ্গীরা, রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আগে থেকে তাঁদের কোনও বচসা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাকিদের চিহ্নিত করে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.