বৃষ্টির জেরে ধসে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিমের লাচুং ও লাচেন! আটকে দেড় হাজার পর্যটক, মৃত অন্তত ছ’জন

লাগাতার বৃষ্টিতে ধসের জেরে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, গোটা দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে পর্যটনের জন্য বিখ্যাত লাচুং, লাচেন-সহ বহু এলাকার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত অন্তত দেড় হাজার পর্যটকের আটকে পড়ার খবর মিলেছে। বিপর্যয় প্রাণ কেড়েছে ছ’জনের। মঙ্গনের জেলাশাসক হেমকুমার ছেত্রী বলেন, ‘‘পাকশেপ ও অম্ভিথাং গ্রাম মিলিয়ে মোট ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গন ও চুংথাংয়ের সংযোগকারী বেইলি সেতুটি ভেঙে গিয়েছে। ধসের জেরে বহু রাস্তা বন্ধ। বহু বাড়ি তছনছ হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে সরকারি আধিকারিকরা সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। কী ভাবে উদ্ধারকাজ চালানো হবে, ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে, সেই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে।

এই অবস্থায় অরুণাচল প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে গিয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিংহ তামাং। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘরছাড়াদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।’’

সিকিমের পরিস্থিতির জেরে বিপর্যস্ত১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকের যাতায়াতের জন্য বিকল্প পথ বলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পঙের জেলা প্রশাসন। জানানো হয়েছে, ছোট গাড়ি আপাতত মানসং-১৭ মাইল-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাতায়াত করতে পারবে। তুলনামূলক বড় এবং ভারী গাড়িগুলি পেডং-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছতে পারবে। পাশাপাশি কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য ২৭ মাইল থেকে তিস্তা ভ্যালি হয়ে পৌঁছনো যাবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.