Afghan Girl Students Crying: পড়াশোনা নিষিদ্ধ! শেষ দিনের ক্লাসে বসে হু হু করে কাঁদল ছাত্রীরা…

একটি মনখারাপ করে-দেওয়া ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ক্লাস রুমে দাঁড়িয়ে কাঁদছে ছাত্রীরা। ভিডিয়োটি আফগানিস্তানের। মাত্র একদিন আগে, ২১ ডিসেম্বরে ২৩ সেকেন্ডের এই ভিডিয়োটি প্রকাশিত হয়েছে।  তালিবান সে দেশে মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ছাত্রীরা ভেঙে পড়েছে, তারা কান্নাকাটিও আরম্ভ করে দিয়েছে।

আফগানিস্তানের প্রাইভেট এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মহিলাদের। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই নির্দেশই বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তালিবান সরকারের এক মুখপাত্র কদিন আগে এই কথা জানিয়েছিলেন। মহিলাদের বিষয়ে এই নির্দেশটি তাঁদের অধিকার এবং স্বাধীনতার উপর আঘাত বলেই মনে করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মত, প্রাথমিকভাবে মধ্যপন্থী শাসন, নারী এবং সংখ্যালঘু অধিকারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও তালিবান তাদের ইসলামি আইনের কঠোরতাকেই ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করছে। তালিবান মিডল স্কুল এবং হাইস্কুলে মেয়েদের নিষিদ্ধ করেছে আগেই। বেশিরভাগ চাকরিতেই মহিলাদের সুযোগকে সীমাবদ্ধ করেছে। জনসমক্ষে মহিলাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছে তালিবান সরকার। মহিলাদের পার্ক এবং জিমে যাওয়াও নিষিদ্ধ করেছে তারা।

তালিবান-অধিকৃত আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জিয়াউল্লাহ হাশমি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে মহিলাদের অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত একটি চিঠি শেয়ার করেছিলেন। সেই চিঠিতে বেসরকারি এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিষেধাজ্ঞাটি কার্যকর করতে বলা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হলে তা মন্ত্রককে জানাতেও বলা হয়েছে। হাশমি তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে চিঠিটি ট্যুইট করেছেন এবং সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি বার্তায় চিঠির বিষয়বস্তু নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নিষেধাজ্ঞাটি আফগান মেয়েরা তাদের উচ্চ বিদ্যালয়ের স্নাতক পরীক্ষা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে এসেছে। যদিও গত বছর তালিবানরা দেশটি দখল করার পর থেকে মহিলাদের শ্রেণীকক্ষে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.