Today’s Covid Update: অনেকটাই কমল দেশের করোনা সংক্রমণ, এক ধাক্কায় নামল দু’হাজারের ঘরে


পর পর তিন দিন ধরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজারের নীচে থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা আরও কমে দু’হাজারের ঘরে পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ২,৮৬২। সোমবার এই সংখ্যা ছিল ৭,৫৯১। রাজ্যভিত্তিক কোভিড পরিস্থিতির দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় মহারাষ্ট্রকে ছাপিয়ে শীর্ষে রয়েছে কেরল। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১,০০০। দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় এর পর রয়েছে মহারাষ্ট্র (৮১০), কর্নাটক (৬৫৯) ও তামিলনাড়ু (৫১২)।

গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক সংক্রমণের হারও অনেকটাই কমেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ০.৮৯ শতাংশ। সোমবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৪.৫৮ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে পাঁচ জন, দিল্লিতে চার জন, হরিয়ানায় তিন জন এবং গোয়া, সিকিম, অসম, ওড়িশা ও কর্নাটকে দু’জন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, গুজরাত, ছত্তীশগঢ়, বিহার, উত্তরাখণ্ড ও মেঘালয়ে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সোমবার এই সংখ্যা ছিল ৪৫। দেশে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৩৯২ জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ২২,০৩১ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩৮ লক্ষ ২৫ হাজার ২৪ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৬৬ শতাংশ।

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.