‘হামলাকারীদের ধর্ম না থাকলে এগুলো যারা করল তারা কারা? ‘, বুদ্ধিজীবীদের প্রশ্ন বাংলাদেশের ইসকনের

ফেসবুকের একটি পোস্টকে ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। অষ্টমীর দিন থেকে শুরু হয়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার যাত্রা, এই যাত্রায় এখনও দাঁড়ি পড়েনি। থেকে থেকে প্রায় প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে আসছে কোনো না কোনো এলাকার হিংসার চিত্র।

কোথাও ভাঙা পড়েছে মণ্ডপ, কোথাও ভাঙা পড়েছে মন্দির, কোথাও ধর্ষিত হয়েছে মহিলা। সব মিলিয়ে সাম্প্রদায়িকতার আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলছে বাংলাদেশ। কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, প্রভৃতি এলাকায় প্রভাবিত হয়েছে এই হামলায়। এইসবেরই মাঝে বাংলাদেশের ইসকন বিবৃতি পেশ করেছে।


বাংলাদেশের ইসকনের সাধারণ সম্পাদক হরে কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী আক্ষেপের সুরে বলেছেন, “হাজার হাজার ধর্মান্ধ প্রকাশ্য রাজপথে মিছিল করে মন্দিরে হামলা চালানোর সুযোগ পাচ্ছে যদি বিচার হতো তবে সহিংসতাকারীরা আজ প্রকাশ্যে দিবালোকে মিছিল করে এ ধরনের হামলার সুযোগ পেত? এদিকে বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, সন্ত্রাসকারীদের কোন‌ও ধর্ম হয় না তবে ধর্মীয় লেবাস পরে ধর্মীয় স্থান থেকে বের হওয়া হামলাকারীরা কারা? এদের পরিচয় জাতির সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরা হোক। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রশ্ন করতে হয় প্রশাসনিক ব্যর্থতা কারণে সংঘটিত এই হামলার দায় কে নেবে? “

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.