গত মার্চ মাসে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ‘দুর্ঘটনা’র কবলে পড়ে। এর জেরে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩২ জন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেন মার্কিন তদন্তকারীরা। ‘দুর্ঘটনা’র কবলে পড়া বিমানটি ছিল মার্কিন সংস্থা বোয়িংয়ের তৈরি। তাই ‘দুর্ঘটনা’র তদন্তে নেমে ব্ল্যাক বক্স খতিয়ে দেখে তারা। আর এরপর মার্কিন আধিকারিকরা দাবি করেছেন, তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে যে ‘ইচ্ছে করে’ গোঁত্তা খেয়ে মাটির দিকে ধেয়ে গিয়েছিল বিমানটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্তকারীর বরাত দিযে মার্কিন সংবাদপত্র ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল দাবি করে, ‘ককপিটে কারোর নির্দেশে বিমানটি পরিচালনা করা হচ্ছিল।’
এর আগে চিনের তরফে এই ‘দুর্ঘটনা’র একটি প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে দাবি করা হয়েছিল যে বিমানে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। এই আবহে নাশকতার তত্ত্ব আরও জোরালো হয়। মনে করা হচ্ছে, বিমানে থাকা কেউ একজন জোর করে ককপিটে ঢুকে গিয়ে এই ‘দুর্ঘটনা’ ঘটিয়ে থাকতে পারে।
গত ২১ মার্চ কুনমিং থেকে গুয়াংঝুতে যাচ্ছিল বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি। গুয়াঙ্গশি এলাকায় এলাকায় সেটি ‘দুর্ঘটনার’ কবলে পড়ে। তার জেরে পাহাড়ের মাথায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। দ্রুত ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেয় উদ্ধারকারী দল। তবে শেষ পর্যন্ত কাউকেই বাঁচানো যায়নি। এরপরই আধিকারিকদের দ্রুত দুর্ঘটনার কারণ বের করতে বলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বিমানের যাত্রাপথের উপর নজর রাখা Flightradar24-র তথ্য অনুযায়ী, দুপুর ১ টা ১১ মিনিটে (স্থানীয় সময়) দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের কুনমিং থেকে বিমানটি উড়েছিল। গুয়াংঝুতে অবতরণের কথা ছিল দুপুর ৩ টে ৫ মিনিটে। উড়ানের ১ ঘণ্টা ৯ মিনিট পর দেখা যায় যে ছ’বছরের পুরনো বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটি ভূপূষ্ঠের ২৯,১০০ ফুট উপরে আছে। কিন্তু দু’মিনিট ১৫ সেকেন্ড পরে তা ৯,০৭৫ ফুটে নেমে গিয়েছে। ২০ সেকেন্ড পরেই সেই উচ্চতা দাঁড়ায় ৩,২২৫ ফুট। তারপর থেকে যন্ত্র থেকে হারিয়ে যায় বিমানটি।