সমুদ্রে যুদ্ধের প্রস্তুতি রাশিয়ার? সম্প্রতি গলায় বকলেস অবস্থায় এমনই একটি সাদা তিমি ধরা পড়েছে। আর সেই সাদা তিমি ধরা পড়ার পর এই প্রশ্নটাই উঠতে শুরু করেছে। শুধু প্রশ্ন ওঠা নয়, এই বিষয়ে একটি পরীক্ষাও চালান নরওয়ের বিশেষজ্ঞরা। যেখানে একটি সাদা তিমির কার্যকলাপ পরীক্ষা করেন। আর তা পরীক্ষা করে নরওয়ের বিশেষজ্ঞদের ধারণা যে এটিকে যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে বিশেষ প্রশিক্ষণ গিয়ে সমুদ্রে ছাড়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের এই বক্তব্যের পরেই বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পশুপ্রেমীদের একাংশের দাবি, সাদা তিমি বিরলতম প্রানীদের মধ্যে পড়ে। শুধুমাত্র যুদ্ধের কাজে তাদের না ব্যবহার করাই ভালো।

জানা যায় গত কয়েকদিন আগে নরওয়ের বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে ওই সাদা তিমিটা দেখতে পান তাঁরা। ওই তিমির গলায় বকলস জাতীয় একটি জিনিস দেখে অবাক হয়ে যান তাঁরা। তিমিটি বারবার তাঁদের কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছিল বলে জানায় ওই মৎস্যজীবীরা। এরপরেই ওই তিমিটিকে ধরে নিয়ে যায় তারা। দেখা যায় তিমির গলার বকলসের ভেতরে লেখা ‘ইকুইপমেন্ট অফ সেন্ট পিটার্সবার্গ।’ ওই লেখা দেখে মনে করা হচ্ছে রুশ নৌবাহিনী এই সাদা তিমিটাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে আরও পরীক্ষানিরীক্ষা চালান নরওয়ের বিশেষজ্ঞরা।

নরওয়ের আর্কটিক ইউনিভার্সিটির আর্কটিক ও মেরিন বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক অ্যানডান রিকার্ডসেন জানিয়েছেন, ‘আমরা জানি তিমি ধরে রাখা আছে। এই তিমিগুলোর মধ্যে কয়েকটাকে সম্প্রতি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। খুব সম্ভবত রুশ নৌবাহিনী যুদ্ধের কাজে এটিকে ব্যবহার করার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছে।’

উল্লেখ্য এর আগে রাশিয়া ডলফিন সেনা বানিয়েছিল। যা কিনা গোটা বিশ্বের সামরিক জগতকে অবাক করে দিয়েছিল। তেমনভাবেই ওই তিমিটিকে রাশিয়ান নৌবাহিনী ট্রেনিং দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.