রোনাল্ডোর হাত ধরেই প্রত্যাবর্তন, আটলান্টাকে হারাল ম্যান ইউনাইটেড

প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচে লেস্টার সিটির বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। ৪-২ হেরেছিল তারা। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো প্রথম একাদশে থাকলেও কিছুই করে উঠতে পারেননি। দিন চারেক পরেই অবশ্য উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ছবিটা বদলে গেল। জয়সূচক গোলটি করেই ম্যান ইউনাইটেডের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনলেন রোনাল্ডোই।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আটলান্টাকে হারিয়ে শুধু আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া নয়। গ্রুপ এফ-এ আটলান্টাকে টপকে দুই পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে উঠে এলেন রোনাল্ডোরা। তবে এই জয় যে সহজে এসেছে, তা একেবারেই নয়। বক্স অফিসে থ্রিলারের অভাব ছিল না। একেবারে রুদ্ধশ্বাস জয় বলতে যা বোঝায়, সে রকমই টানটান উত্তেজনা ছিল ম্যান ইউনাইটেড বনাম আটলান্টা ম্যাচে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

ম্যাচের শুরুতেই খেলার পুরো রাশটাই নিজেদের হাতে রেখেছিল আটলান্টা। এমন কী প্রথমার্ধে তারা ২-০ এগিয়েও যায়। ম্যাচের ১৫ মিনিটের মধ্যেই মারিও প্যাসালিচ ১-০ এগিয়ে দেন আটলান্টাকে। প্রথম গোলের মিনিট তেরোর মধ্যে মেরিহ দেমিরালের দ্বিতীয় গোল। তখন কার্যত কোণঠাঁসা রেড ডেভিলসরা। যেন আরও একটি হারের ভ্রুকুটি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিল তারা। রক্ষণ তো একেবারে ব্যাকফুটে।

নড়বড়ে টিমটাই যে অজানা এক জাদুকাঠির ছোঁয়ায় বিরতির পর বাঘ হয়ে ছাপিয়ে পড়বে আটলান্টার উপর, সেটা কী আদৌ ভেবেছিলেন ম্যান ইউনাইটেডের অতিবড় সমর্থকও! ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে যেন ‘উল্টে দেখ, পাল্টে গিয়েছি’ স্লোগান নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন রোনাল্ডোরা। ৫৩ মিনিটে প্রথমে ব্যবধান কমান মার্কাস রাশফোর্ড। তবে সমতা ফেরাতে লেগে যায় আরও ২২ মিনিট। ৭৫ মিনিটে ২-২ করেন হ্যারি ম্যাগুয়ার। তাঁর গোলের সঙ্গে সঙ্গেই স্বস্তি ফিরে পায় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড।

তবে গল্পে তখনও টুইস্ট বাকি ছিল। ম্যাগুয়ারের গোলে ছ’মিনিটের মধ্যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর হাত ধরে জয়ে ফেরে ওলে গানার সোল্কজায়েরের টিম। ‘আটলান্টা-বধ’ সম্পূর্ণ করেন সিআর সেভেনই। দ্বিতীয়ার্ধে আটলান্টা একেবারে দাঁত ফোটাতে পারেনি। যার নিট ফল, জিতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কিছুটা ভাল জায়গায় পৌঁছে গেল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.