রাজ্য সরকারের চাপে পিছু হটল ‘প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি’। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বেচারহাটে আলু ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বুধবার থেকে কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হল। অর্থাৎ, বুধবার হিমঘর থেকে আলু বের হবে ও তা আগের মতোই বাজারে সরবরাহ করা হবে। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যের হিমঘরগুলিতে আলু আছে প্রায় ৯ শতাংশ। যে পরিমাণ আলু মজুত আছে, তাতে কোনও ভাবেই আলুর জোগানে টান পড়বে না!
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি আজ, মঙ্গলবার কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় এদিন সকাল থেকেই বাজারে চড়া দামে আলু বিক্রি হচ্ছিল। বর্ধমানের পুলিস লাইন বাজার থেকে স্টেশন বাজার কিংবা নীলপুর বাজার– সব জায়গাতেই খোলা বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছিল ৩৬ টাকা কিলো দরে, চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হচ্ছিল ৪০ টাকা কিলো দরে।
বাজারের খুচরো বিক্রেতারা জানান, গতকাল পর্যন্ত আমরা আলু বিক্রি করেছি ৩২ টাকায়। কিন্তু এদিন আলুর জোগান কম। বস্তায় ২০০ টাকা বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে। তাই দাম বেড়েছে। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বর্ডার না খুললে তারা মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতিতে সামিল হবে। সেই মতো এদিন হিমঘর থেকে আলু বের হয়নি। ব্যবসায়ীদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে হিমঘর মালিকরাও। তাই সব হিমঘরেই তালা। পূর্ব বর্ধমানের কোনও হিমঘর থেকে কার্যত কোনও আলু বের হয়নি। রাজ্য প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির ডাকা কর্মবিরতিতে সহমত পোষণ করে হিমঘর মালিক অ্যাসোশিয়েশন। আর হিমঘর থেকে আলু বের না হওয়ায় বাজারে আলুর জোগান কমে যায়।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সভাপতি লালু মুখার্জি বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কর্মবিরতি তুলে নিচ্ছি। বুধবার রাত থেকেই হিমঘর থেকে আলু বের হবে।’