Kolkata Yellow Taxi: হলুদ ট্যাক্সিকে বাঁচাতে এবার পরিবহণমন্ত্রীর দরবারে জয়েন্ট ফোরাম!

‘হলুদ ট্যাক্সিকে বাঁচাতে হবে’। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট ফোরাম অফ ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন। বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে বৈঠক করলেন প্রতিটি অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষকর্তারা। 

২০১৮ সালে শেষবার ‘বেস ফেয়ার’  বা ন্যূনতম ভাড়া বেড়েছিল হলুদ ট্য়াক্সির। ট্যাক্সি সংগঠনের কর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পরিবহণমন্ত্রীর কাছে  শহরের চলাচলকারী ট্যাক্সিগুলির ভাড়ার একটি নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরির দাবি জানানো হবে। তাঁদের অভিযোগ, নতুন ট্যাক্সি কেনা ও পারমিট দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন পরিবহণ দফতর সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়। কেন পারমিট মেলে না সহজে? স্রেফ পদ্ধতি সরলীকরণ নয়, সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনে ট্যাক্সিতে রূপান্তরিত করার পারমিটের জন্য়ও মন্ত্রীর কাছে দরবার করবেন ট্যাক্সি মালিকরা। সঙ্গে আবার পুলিসি জুলুম, জরিমানা! পুলিশের ভূমিকার বিরুদ্ধেও পরিবহণ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা।

ট্য়াক্সি মালিকদের আশঙ্কা, পরিবরণ দফতরের নয়া নিয়মে ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বাতিল হয়ে যাবে প্রায় হাজার তিনেক ট্যাক্সি। তখন বেসরকারি ক্যাবের দাপট আরও বাড়বে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত, সেক্ষেত্রে যদি হলুদ ট্যাক্সিকে বাঁচানো যায়, তাহলে চালকদের মনোভাব বদলের চেষ্টা করা হবে। ট্য়াক্সি অ্য়াসোসিয়েশনের কর্তারা জানান, সকালে শহরের রাস্তায় ২৫০০ ট্যাক্সি চলে। সবগুলিই বৈধ কাগজ রয়েছে। কিন্তু রাতে যে ৩ হাজার ট্যাক্সি চলে, তার সিংহভাগেরই বৈধ কাগজ নেই। এছাড়া চালকের অভাব এবং অন্যান্য কারণে বিভিন্ন মালিকের বাড়িতে প্রায় ৬৫০০ ট্যাক্সি পড়ে রয়েছে। যেগুলি রাস্তায় নামানো হয় না। এরফলে শহরের বুকে ট্যাক্সি সঙ্কট তীব্র আকার নিয়েছে।

স্রেফ ভিক্টোরিয়া, ট্রাম কিংবা হাওড়া ব্রিজ নয়, কলকাতার অন্যতম আইকন হলুদ ট্যাক্সিও। কিন্তু শহরের রাস্তা থেকে এখন কার্যত বিলুপ্তির পথে সেই হলুদ ট্যাক্সি। এখন অনলাইন ক্যাবেরই রমরমা। হলুদ ট্যাক্সি সংখ্য়া কমে গিয়েছে অনেকটাই। তারউপর পরিবহণ দফতরের নতুন নিয়মে এবছরই বসে যাচ্ছে  সাড়ে হাজারের মতো হলুদ ট্যাক্সি। কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৫ বছরের বেশি পুরানো গাড়ি আর চলবে না রাস্তায়। ফলে বিপাকে ট্যাক্সি মালিক ও চালকরা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.