সৌদি আরবকে উড়িয়ে দিল মেক্সিকো, তাও ফিফার নিয়মে শেষ ষোলোয় যাওয়া হল না ওচোয়াদের

বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় যেতে হলে জেতা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না মেক্সিকোর। অন্য দিকে সৌদি আরবকেও জিততে হত। মরণ বাঁচন ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জিতল মেক্সিকো। ২-১ গোলে সৌদিকে হারালেও শেষ ষোলোয় যাওয়া হল না মেক্সিকোর। আর্জেন্টিনার পরে দ্বিতীয় দল হিসাবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে গেল পোল্যান্ড। অন্য দিকে প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারালেও পরের দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপের একদম নীচে শেষ করল সৌদি।

খেলার শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে মেক্সিকো। আচমকা আক্রমণে খেই হারিয়ে ফেলে সৌদি আরবের রক্ষণ। লোজানো, স্যাভেজদের আক্রমণ বার বার বিপদ তৈরি হচ্ছিল সৌদির বক্সে। কিন্তু গোল আসছিল না। বেশ কয়েক বার গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছে গেলেও কাজের কাজ করতে পারেননি মেক্সিকোর স্ট্রাইকাররা। ফলে গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দু’দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় মেক্সিকো। সৌদির কোচ হার্ভে রেনার্ডের কোনও পরিকল্পনা কাজে লাগছিল না। অবশেষ ৪৭ মিনিটের মাথায় ভাঙে সৌদির রক্ষণ। গোল করে মেক্সিকোকে এগিয়ে দেন হেনরি মার্টিন। পাঁচ মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ান লুই স্যাভেজ। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের দুরন্ত ফ্রিকিকে গোল করেন স্যাভেজ।

ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত মেক্সিকো। লোজানোর গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করেন রেফারি। দু’গোল খাওয়ার পরে গোল শোধ করার অনেক চেষ্টা করে সৌদি আরব। কিন্তু ওচোয়াকে পরাস্ত করতে পারেনি তারা। অন্য দিকে মেক্সিকো জানত, আর একটা গোল করতে পারলেই বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় পৌঁছে যাবে তারা। তাই তারাও শেষ পর্যন্ত আক্রমণ করে। ৮৭ মিনিটের মাথায় সৌদির গোলে বল জড়ান উরিয়েল আন্টুনা। কিন্তু সেই গোলও অফসাইডে বাতিল হয়। অতিরিক্ত সময়ে একটি গোল শোধ করে সৌদির সালিম আলদাওশারি। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচ জেতে মেক্সিকো।

সৌদি আরবকে হারানোয় মেক্সিকোর পয়েন্ট ৩ ম্যাচ খেলে ৪। অন্য দিকে পোল্যান্ডেরও পয়েন্ট ৩ ম্যাচ খেলে ৪। কিন্তু গোল পার্থক্যে পোল্যান্ড চলে গেল শেষ ষোলোয়। স্বপ্নভঙ্গ হল মেক্সিকোর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.