১৮৫৪ সালে প্রকাশিত হল বিদ্যাসাগর প্রণীত কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান-শকুন্তলম্’ নাট্য-কাহিনীর বাংলা অনুবাদ ‘শকুন্তলা’। বিদ্যাসাগর কালিদাস সম্পর্কে এতটাই উচ্চভাব পোষণ করতেন যে, এই নাটক সম্পর্কে বলেছিলেন এক ‘অলৌকিক পদার্থ’; বলেছিলেন, “মনুষ্যের ক্ষমতায় ইহা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট রচনা সম্ভবিতে পারে না।” কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান-শকুন্তলম্’ নাটকটি সাত অঙ্কে বিভক্ত; বিদ্যাসাগর মূল নাটকের আখ্যানভাগকে গদ্যরচনা হিসাবে রূপান্তরিতRead More →

(১)বাংলার বামপন্থী চিন্তাবিদেরা সব সময় প্রমাণ করতে চেয়েছেন, বিদ্যাসাগরকে ধর্ম-উদাসীন মানবতাবাদী চরিত্র হিসাবে, তুলে ধরতে চেয়েছেন তাঁর ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তিত্বকে। কিন্তু মূল সত্যিটা হল, পরাধীন ভারতবর্ষে নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করলে দেশের সামাজিক সংস্কারের কাজ সুসম্পন্ন হয়, সে ব্যাপারে তিনি বাস্তববাদী ছিলেন। সেই পথে যেতে হলে তিনি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আপোষ করেছেন।Read More →

বলা হয় ঈশ্বর একজনই হন, দু’জন হন না। দু’শো বছরে বিদ্যাসাগরের জুড়িও পাওয়া গেল না। কারণ বিদ্যাসাগর হতে গেলে বিদ্যার সাগর যেমন হতে হয়; অক্ষয় মনুষ্যেত্বর অধিকারী দয়ার সাগরও হতে হয়; আর থাকতে হয় অজেয় পৌরুষত্ব। এই ত্রিনয়ন না থাকলে বিদ্যাসাগর হওয়া যায় না। হাজার বছর খুঁজলেও পাওয়া যাবে না।Read More →

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ১৮৮২, ৫ই আগস্ট সিঁড়ি দিয়া উঠিয়া একেবারে প্রথম কামরাটিতে (উঠিবার পর ঠিক উত্তরের কামরাটিতে) ঠাকুর ভক্তগণসঙ্গে প্রবেশ করিতেছেন। বিদ্যাসাগর কামরার উত্তরপার্শ্বে দক্ষিণাস্য হইয়া বসিয়া আছেন; সম্মুখে একটি চারকোণা লম্বা পালিশ করা টেবিল। টেবিলের পূর্বধারে একখানি পেছন দিকে হেলান-দেওয়া বেঞ্চ। টেবিলের দক্ষিণপার্শ্বে ও পশ্চিমপার্শ্বে কয়েকখানি চেয়ার। বিদ্যাসাগর দু-একটি বন্ধুরRead More →

॥১॥ আধুনিক সংস্কৃতি ও সাহিত্যের দীর্ঘ-বিসর্পিত পথরেখা। আদি আছে, অন্ত নেই!… কুহেলিকার অস্পষ্টতায় ঢাকা সে ছায়াচ্ছন্ন পথে সবেগে যাত্রা করেছিলেন এক সবল মানুষ ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে। প্রতিভাদীপ্ত তাঁর ললাট, হাতে উজ্জ্বল দীপশিখা। সে যাত্রীর নাম রামমোহন রায়। সংস্কৃতির সাগর-সঙ্গমের দিকে যাত্রাপথে তাঁর সঙ্গী হলেন আরও অনেক তীর্থপথিক। কলরবে মুখরিত হলRead More →

তখন প্রগতিশীলতা মানেই ছিল ব্রাহ্ম হয়ে যাওয়া, কিন্তু বিদ্যাসাগরকে ব্রাহ্ম হতে দেখি নি আমরা। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজ নারায়ণ বসু, অক্ষয় কুমার দত্ত প্রমুখ ব্রাহ্ম মনীষীর সঙ্গে তাঁর চির ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও তিনি হিন্দুই থেকে গেছেন। বরং প্রিয়পাত্র শিবনাথ শাস্ত্রী ব্রাহ্ম হয়ে গেলে তা তাঁকে বিশেষভাবে পীড়িত, ব্যথিত করেছিল। বিদ্যাসাগরের লেখা চিঠিপত্রেরRead More →

সালটা ১৮৫৩।হুগলী বর্ধমান সীমান্ত অঞ্চলে দশঘরার কাছে এক অভিজাত বাড়ি।বেলা ১১টা হবে।ঘরের মধ্যে আয়োজন করা হয়েছে এক আলোচনা সভার। পাড়ার গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত, রয়েছেন গৃহকর্তা স্বয়ং। জলখাবারের লুচি ছোলার ডাল নানা মিষ্টি পরিবেশিত হচ্ছে।সুখাদ্যের সুঘ্রানে ঘর মাতোয়ারা।আহার সমাপনে হবে আলোচনা। বিষয়বস্তু একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা যাতে মেয়েদের জন্যও শিক্ষার সুযোগ থাকবে।গৃহকর্তাRead More →

গত মঙ্গলবার রাজনৈতিক হিংসার চরম নিদর্শন দেখেছিল গোটা দেশবাসী। একটি গণতান্ত্রিক মিছিলে হামলা করে কিভাবে দাঙ্গা লাগিয়েছিল তৃণমূল (TMC) সেটা সবাই জানে। এমনকি বিদ্যাসাগরের (Vidyasagar) মূর্তিও ভাঙা হয়েছিল সেদিন। চুরমার করে দেওয়া হয়েছিল বাঙালির অভিমান। এই ঘটনার জন্য তৃণমূল কাঠগড়ায় তুলেছিল বিজেপিকে (BJP) । কিন্তু বিজেপি থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়াRead More →

প্রাতঃ স্মরণীয় সমাজ সংস্কারক শিক্ষাবিদ বাংলা গদ্যের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৬.৯.১৮২০ – ২৯.৭.১৮৯১) এর দ্বিশতবর্ষ জন্ম জয়ন্তীর সূচনা হচ্ছে আর চার পাঁচ মাস পরে । তাঁর বসত বাটিতে গড়ে ওঠা ঐতিহ্যপূর্ণ মহাবিদ্যালয় বিদ্যাসাগর কলেজ। সেখানে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তিটি ছিল মূল ফটকের ভিতরে একটি দরজার পরে কাঁচের শোকেসে। মূল ফটক আরRead More →

ওয়েব ডেস্ক: যেখানে ভেঙেছে সেই বিদ্যাসাগর কলেজেই বিদ্যাসাগরের নতুন মূর্তি গড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন উত্তরপ্রদেশের সভা থেকে মোদি বলেন, ভাঙা জায়গায় বিদ্যাসাগরের পঞ্চধাতুর মূর্তি গড়ে তৃণমূলকে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। এদিন মোদি অমিত শাহ’র সুরেই বলেন, তৃণমূলের গুন্ডারা মূর্তি ভেঙে বিজেপির উপরে দোষ চাপাচ্ছে। প্রসঙ্গত, বিদ্যাসাগরেরRead More →