শ্রাবণ মাসে শিবের মাথায় জল ঢালার অনেক গল্প ও অনেক কাহিনী। সেসব হয় জনশ্রুতি, নয় পৌরাণিক গোঁজামিল। কেউ বলেন, শ্রাবণ মাসেই নাকি দেবতা ও অসুরদের সম্মিলিত প্রয়াসে সমুদ্রমন্থন হয়েছিল। সমুদ্র থেকে অমৃতের কলস ওঠার আগে উঠেছিল তীব্র হলাহল অর্থাৎ বিষ। সেই বিষ এতটাই তীব্র ছিল যে, তা সমস্ত সৃষ্টিকে নষ্টRead More →

তাঁর ডাক নাম ছিল রুমা, ভালো নাম কমলিকা। অনেকেই জানেন না, এই কমলিকা নামটি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাই এই নামটি রুমা রেখে দিয়েছিলেন বুকের মধ্যে, একান্ত নিজের করে। সকলের করতে দিয়েছিলেন শুধু ডাক নামটিকে। তাই এই ডাক নামেই বিখ্যাত হয়েছিলেন রুমা গুহঠাকুরতা। একাধারে গায়িকা ও নায়িকা রুমার জন্ম হয়েছিল ১৯৩৪Read More →

কলিযুগে অযোধ্যায় এক রাজা ছিলেন, তাঁর নাম ছিল সঞ্জাত বা সুজাত। এঁর জন্ম হয়েছিল সেই ইক্ষাকু বংশে, যে বংশে ত্রেতাযুগে জন্ম হয়েছিল রামচন্দ্রের। বৌদ্ধগ্রন্থ ‘মহাবস্তু অবদানম’ এবং হিন্দুদের ‘বিষ্ণু পুরাণ’ থেকে জানা যায় যে, রামপুত্র কুশের একান্নতম অধস্তন পুরুষ ছিলেন সুজাত। সুজাতের ছিল পাঁচ পুত্র ও পাঁচ কন্যা। পাঁচ পুত্রেরRead More →

কল্পান্তরে সৃষ্টি তখন ধ্বংস হয়ে গেছে। চরাচরে কেবলই জল আর জল। তার বুকে হাওয়া সৃষ্টি করে বুদ্বুদ, তাও একসময় মিলিয়ে যায় জলেই। একা একা আর তার ভালো লাগে না। এ তো গেল আকারের কথা। জল যাঁকে দেখতে পাচ্ছিল না, সেই নিরাকার ব্রহ্মরূপে ব্যাপ্ত বিষ্ণু জলের একাকীত্বের ব্যথা বুঝলেন। অনন্ত জলমালারRead More →

১৮৬৯-এ শিয়ালদহ স্টেশন চালু হতেই শুরু হল প্যাসেঞ্জার আর মালগাড়ির হররা। প্যাসেঞ্জারদের জন্য না-হয় পালকি ছিল, ছ্যাকড়া গাড়ি ছিল। বখেড়া হল মালগাড়ির মাল নিয়ে। কারণ, গোডাউনগুলো তো সব সেই গঙ্গার ধারে, আর্মেনিয়ান ঘাটের আশেপাশে। সেখানে মাল নিয়ে যেতে ভরসা ছিল একমাত্র গরুর গাড়ি। কিন্তু স্টেশনের সমস্ত মাল বইতে পারে এতRead More →

সময়টা রামচন্দ্র, সীতা আর লক্ষ্মণ-এর বনবাসের কাল। তাঁরা যখন চিত্রকূট পাহাড়ে অবস্থান করছিলেন, তখনই ভরত এসে পিতা দশরথের মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে গেলেন। অশৌচ আর শোক নিয়ে পাহাড়, জনপদ পেরিয়ে তাঁরা যখন ফল্গু নদীর ধারে গয়াভুমিতে এসে পৌঁছলেন; তখন পিতার উদ্দেশ্যে পিণ্ডদানের সময় হল। কিন্তু বনবাসী ভিক্ষাজীবী রাম-সীতাদের কাছে যথেষ্ট চালRead More →

নারদীয় পুরাণের যুগে সোমবংশে বর্ষকীর্তি নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি কয়েক হাজার বছর ধরে বেশ আয়েশেই রাজত্ব করছিলেন। দীর্ঘদিন নিষ্কণ্টক রাজত্ব করলে যা হয়, রাজার মনে অহংকার আসে। আর এই অহংকারই তাঁকে বিপথে নিয়ে যায়, বেপরোয়া করে তোলে। বর্ষকীর্তির ক্ষেত্রও সেটাই ঘটল। তার ওপর বর্ষকীর্তি রাজা হিসেবে খুব যে একটাRead More →

পাঁচটা বলতে তিনি পাঁচটাই বুঝতেন, এক্কেবারে ফেলুদার মতো। খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপন পুরোটাই ছিল তাঁর সাহেবিয়ানায় মোড়া। সাহেবদের মতোই তিনি ঘড়ির কাঁটায় বেঁধে ফেলেছিলেন জীবন। ছবিতে তাঁর সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের মুখে শুনেছি, তিনি আট ঘন্টার বেশি শ্যুটিং করতেন না। হাজির হতেন একেবারে ঘড়ি ধরা সময়ে, বেরিয়ে যেতেনও সেভাবেই। শ্যুটিংRead More →

পেটাই মানে সে দস্তুর মতো পুরুষ পেটাই। তাও আবার খোদ নারীর হাতে। উত্তর প্রদেশের বারসানার লাঠমার হোলিতে এটাই দস্তুর। এদিন তারা নন্দগ্রামের মদ্দ দেখলেই দমাদ্দম সড়কি চালায়। মদ্দদের হাতে থাকে শুধুই ঢাল। তাই দিয়ে কাঁহাতক আর গা বাঁচানো যায়! তবু এ অঞ্চলের এই হোলির এমনই ঐতিহ্যবাহী নিয়ম যে, মহিলাদের হাতেRead More →

গণ্ডাচারেক গুণ্ডা যিনি পুষতে পারেন, কন্ট্রোলে রাখতে পারেন, তিনিই হলেন সবচেয়ে পাওয়ারফুল রাজনেতা। তাই রাজনৈতিক সভাসমিতিতে বলতে বাধে না যে, গুণ্ডারা এখন তাঁদের কন্ট্রোলে। কখনও কখনও সেটা তাঁরা বেশ ফলাও করেই বলেন। বুঝিয়ে দেন, তাঁরাই গুণ্ডাদের বস। তাঁদের একটা ইশারাতেই যে-কোন সময় যে-কেউই ছোবল খেয়ে ছবি হয়ে যেতে পারে! এইRead More →