বিশ্বভারতী-কান্ডের কেন্দ্রীয় তদন্ত দাবি করল বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপর্যুপরি অরাজক অবস্থা নিয়ে দলের নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে সরব হন রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত।
গতকাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনাসভায় অংশ নিতে গিয়ে পাঁচ ঘন্টার ওপর অবরুদ্ধ থাকেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনমন্ডলির রাষ্ট্রপতি-মনোনীত প্রতিনিধি স্বপন দাশগুপ্ত, উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী প্রমুখ। কী পরিস্থিতির মুখে তাঁদের পড়তে হয়েছিল, আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবে তা বর্ণনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে তৃণমূল এবং বাম- উভয় পক্ষকেই দায়ী করেন তিনি। তাঁকে উদ্ধারের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের হস্তক্ষেপের উল্লেখ করে স্বপনবাবু যাদবপুরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ক্যাম্পাসগুলো যে রকম বিষাক্ত পরিবেশের দিকে এগোচ্ছে, তাতে সত্তরের দশকের ভয়াবহ দিনের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতির চর্চা চলুক! কিন্তু দলীয় রাজনীতির ক্ষতিকারক বিষয়গুলোকে দূর করতে হবে। এর জন্য এগিয়ে আসতে হবে সুশীল সমাজকে।
স্বপনবাবু বলেন, কিছু বিদেশী ছাত্র গতকালের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক তা খতিয়ে দেখুক। গতকাল গন্ডগোলের সময় দুটো অজুহাত দেখাচ্ছিল বাধাদানকারীরা। এক, কেন সিএএ-র বিরোধীদের এই আলোচনায় রাখা হয়নি? দুই, কেন আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই সভায়? এর উত্তরে জানাই, সিএএ-র বিরোধিতা করার জন্য যাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁরা আসেননি, বা আসতে চাননি। দু রকম মতাবলম্বীরা একসঙ্গে মঞ্চে বসবেন না বলে ওঁরা দাবি করেছিলেন। আর, আমাকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল কারণ, ২০১৬ সাল থেকে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আমি নানাভাবে সক্রিয়। এ নিয়ে যথেষ্ঠ চর্চা করেছি। আর, বিশ্বভারতীতে এ রকম সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা তো আগেও একাধিক হয়েছে! কেন গায়ের জোরে আলোচনা বন্ধের চেষ্টা হবে?