চতুর্থ দফার ভোটে ‘রেকর্ড সংখ্যায় ভোটদানের আহ্বান’ মোদীর

রাজ্যের পাঁচটি জেলায় চলছে চতুর্থ দফার ভোটদান। নানান জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটছে। তবুও দলে দলে লোক গিয়ে ভোট দিচ্ছেন। এরই মধ্যে রাজ্যের মানুষকে ‘রেকর্ড সংখ্যায় ভোটদানের আহ্বান’ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিন টুইটারে মোদী বাংলায় লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ দফার ভোট শুরু হয়েছে। আজকের ভোটদাতাদের কাছে রেকর্ড সংখ্যায় ভোটদানের আহবান জানাচ্ছি। তরুণ ও মহিলা ভোটারদেরও বিপুল সংখ্যায় ভোটদানের অনুরোধ জানাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, এর আগেও প্রতি দফায় ভোটের আগে সাধারণ মানুষকে এই বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি অমিত শাহও মানুষকে ভোটদানের বার্তা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এদিন ভোট গ্রহণ হচ্ছে ৪৪ আসনে। হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, কোচবিহার, আলিপুর দুয়ার এই ৫ জেলার মানুষ এদিন ভোট দেবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও বেলা ১০ টার আগেই ভোট দিতে গিয়ে এদিন মৃত্যু হয়েছে এক নতুন ভোটারের। শীতলকুচিতে এ ঘটনা ঘটেছে। ভোটের লাইন তিনি গুলিবদ্ধ হন।

ভোটের লাইন ১৮ বছরের প্রথম ভোটারের মৃত্যুর ঘটনা চতুর্থ দফার ভোটে এই প্রথম। অসমে প্রথম ভোটারকে যখন ভোট দিতে এলে একটি ছাড়া গাছ দেওয়া হচ্ছে সেখানে পশ্চিমবঙ্গে গুলি খেয়ে মারা যেতে হচ্ছে ন্যূন ভোটারের। আন্দেক প্রত্যাশা নিয়ে ভোটের লাইনে এসে এভাবে আনন্দ বর্মণকে মরতে হবে সেটা কাঙ্খিত নয় গণতন্ত্রের এই বিশাল উৎসবে।

তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অভিযোগ, আনানন্দ বর্মণকে মেরেছে বিজেপি-র হার্মাদ বাহিনী। তবে যেই মানুক এই ঘটনা গণতন্ত্রের লজ্জা। রাজ্যে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে নির্বাচন হচ্ছে। তার পর কী করে দুষ্কৃতীরা বুথের লাইনে গুলি চালাতে পারে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.