অশান্ত মোহনপুর: অর্জুন সিংয়ের উপর হামলা, ইটের ঘায়ে ঠোঁট ফেটে রক্ত, রিপোর্ট চাইল কমিশন

সকাল থেকে নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বেলা গড়াতেই তেতে উঠল ব্যারাকপুরের মোহনপুর। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হলো মোহনপুর। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। অভিযোগ, বিজেপি এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সামনেই হামলা চালিয়েছে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, অর্জুন সিং ও তাঁর লোকেরাই মোহনপুরে তৃণমূলের উপর হামলা চালায়। ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।

বিজেপির দাবি, সোমবার সকালে দলের এজেন্টরা যখন বুথের দিকে যাচ্ছিলেন, সেই সময়েই হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ইটের ঘায়ে জখম হন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী। ঘটনাস্থলে পৌঁছে জখম হন অর্জুন সিংও। তাঁর দাবি, তৃণমূলের কর্মীরা এলোপাথাড়ি ইট ছুঁড়ছিল তাঁদের লক্ষ্য করে। হামলায় ঠোঁট ফাটে অর্জুনের।

পঞ্চম দফার ভোটে বাংলার সাতটি আসনের মধ্যে রাজনৈতিক মহলের পাখির চোখ ছিল ব্যারাকপুরের দিকেই। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মোহনপুরের এই বুথের বিষয়ে আগেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল কমিশন। আজকের ঘটনার বিষয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছেন অর্জুন সিংহ। তাঁর দাবি, সকাল থেকেই তৃণমূলের গুণ্ডারা এই এলাকায় ঝামেলা করছিল। বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়, পাশাপাশি তাঁদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়।

কিছুক্ষণ পর অর্জুন সিং দলীয় কর্মী-সমর্থক ও পোলিং এজেন্টকে নিয়ে ওই বুথে যান। সেখানে পৌঁছে বাধার সামনে পড়েন অর্জুন। বুথের দরজা আটকে এক ব্যক্তি বলতে থাকেন, “প্রার্থী বুথের ভিতরে ঢুকতে পারে না।”অর্জুন সিং থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম, সবাই নিয়ম বোঝানোর চেষ্টা করলেও সেই এক বুলি আওড়ে যান ওই ব্যক্তি। তারপরেই সার্কেল অফিসারকে ফোন করেন বিজেপি প্রার্থী। যে ব্যক্তি দরজা আটকেছিলেন, তাঁর গলায় কোনও পরিচয়পত্র ছিল না। অর্থাৎ তিনি এজেন্ট বা ভোটকর্মী নন। কিন্তু তারপরেও কীভাবে তিনি প্রার্থীকে বুথে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে বচসা।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুইক রেসপন্স টিম। তাঁরা গিয়ে বুথের বাইরে থাকা অবৈধ জটলা সরিয়ে দেন। অর্জুন সিংও সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কুইক রেসপন্স টিম থাকলেও এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.