বিশ্বের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নিয়ে পুড়ছে মহারাষ্ট্রের চন্দ্রাপুর

না, এখনও ২০১০ সালের পাকিস্তানের জোকোবাবাদের রেকর্ড ছুঁতে পারেনি মহারাষ্ট্রের চন্দ্রাপুর৷ সেবার ব্যারোমিটারের পারদ বলেছিল জোকোবাবাদ ছুঁয়েছে ৫৩ ডিগ্রির সেলসিয়াসের ঘর৷ আর এবার সেই পথেই প্রায় হাঁটতে চলেছে মহারাষ্ট্রের এই এলাকা৷ জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝিতেই এখানে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷

রেকর্ড বলছে এই তাপমাত্রা এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা৷ চন্দ্রাপুরের কিছু পরেই রয়েছে রাজস্থানের নাম৷ লু বইছে গোটা রাজ্য জুড়ে৷ চুরুর তাপমাত্রা ৪৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ মৌসম ভবন বলছে স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি বেশি৷ তীব্র দাবদাহে নাভিশ্বাস উঠছে পূর্ব ও মধ্য রাজস্থানের৷

রাজ্যের অন্য প্রান্তে বিকানির ও গঙ্গানগর৷ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বুধবার ছিল ৪৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ জয়সলমির, কোটা ও বারমের ছুঁয়েছে ৪৫-এর ঘর৷ জ্বলছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরও৷ তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি৷

হরিয়ানা ও পঞ্জাবের অবস্থাও তথৈবচ৷ এই দুই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৪৬ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে৷ হরিয়ানার নারনাউল এলাকায় তাপমাত্রা ৪৬.২ ডিগ্রি৷ প্রায় একই পরিস্থিতি ভিওয়ানি, হিসার, কারনাল ও অম্বালার৷ বুধবার চণ্ডীগড়ে এই মরশুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৪ ডিগ্রি৷

পুড়ছে দক্ষিণ ভারতও৷ তেলেঙ্গানা পাল্লা দিচ্ছে পশ্চিম ভারতের সঙ্গে৷ রাজ্যের আদিলাবাদ জেলার তাপমাত্রা ৪৬.৩ ডিগ্রি৷ নালগোণ্ডা ও হানামকোণ্ডার তাপমাত্রা ৪৫.৮ ডিগ্রি, হায়দরাবাদের তাপমাত্রা ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ পাহাড়ি হিমাচল প্রদেশ জানান দিচ্ছে গরমের উপস্থিতি৷ উনাতে তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি৷ জম্মুতে ৪২.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে৷

আবহাওয়া দফতর বলছে লু চলবে৷ তাপপ্রবাহ জারি থাকবে বিদর্ভ, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, রাজস্থান, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ ও ওড়িশায়৷ আগামী ২-৩ দিনে পরিস্থিতি বদলানোর কোনও সম্ভাবনা নেই৷

কিছুটা স্বস্তিতে পশ্চিমবঙ্গ থাকলেও, অবস্থার অবনতি হচ্ছে এরাজ্যেও৷ সাত সকালেই শহরের পারদ ৩৮ ছুঁই ছুঁই। পরিস্থিতি ক্রমে অসহ্য হয়ে উঠছে কলকাতার জন্য। লং টার্ম ফোরকাস্ট জানিয়েছিল গরম কম পড়বে। কোথায় কি! লম্বা ইনিংস চলছে গরমের। দক্ষিণবঙ্গের অন্যন্য জেলায় একটু আধটু বৃষ্টি হচ্ছে। কলকাতা একেবারে খটখটে শুকনো। এক কথায় বলা যেতেই পারে, ২০১৯ , গ্রীষ্ম বুঝিয়ে দিচ্ছে জ্যৈষ্ঠ কি জিনিস।

বৃহস্পতিবার সকালে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশী। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশী। আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৫৬ শতাংশ।

বুধবার সকালে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশী। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশী। আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৫৭ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা থাকতে পারে সর্বোচ্চ ৩৭ থেকে সর্বনিম্ন ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.