রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi) বনাম আজ স্মৃতি ইরানি টক্কর সকাল থেকে দেখার মতো ছিল। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে এসে গেছে। নির্বাচনে রাষ্ট্রবাদী শক্তির জয় হয়েছে অন্যদিকে বামপন্থী, তথাকথিত সেকুলারপন্থীদের হার হয়েছে। একইসাথে আতঙ্কবাদীদের সমর্থক, নকশালী ইত্যাদির হার হয়েছে বলেও ধরা হচ্ছে। শুধু এই নয়, হার রাহুল গান্ধীর হয়েছে। রাহুল গান্ধী নিজের আসন থেকেই এখন পলাতক। আমেঠি থেকে স্মৃতি ইরানি প্রচন্ড জয়লাভ করেছে।
প্রত্যেক রাউন্ডের কাউন্টিং এর পর স্মৃতি ইরানির জয়ের পরিসংখ্যান বেড়েই চলছিল। আমেঠির প্রত্যেক এলাকা থেকে স্মৃতি ইরানি বেশি ভোট পেয়েছেন। বিগত লোকসভা নির্বাচনের সময় স্মৃতি ইরানিকে হারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। কিন্তু উনি হার না মেনে লড়াই চালিয়ে গেছিলেন। যার ফল আজ উনি পেয়েছেন।
স্মৃতি ইরানি লাগাতার আমেঠিতে কাজ করছেন। অন্যদিকে রাহুল গান্ধী সাংসদ হয়েও আমেঠিতে কোনো কাজ করেনি। গান্ধী পরিবারের রাজা হওয়ার অহংকারে আমেঠিতে কাজ করেননি। নির্বাচন সামনে এলে, কংগ্রেসের কার্যকর্তারা গ্রাউন্ড রিপোর্ট দেন যে তিনি হেরে যাবেন। এটা শুনেই রাহুল গান্ধী মুসলিম বহুল এলাকা ওয়ানাদে নির্বাচন লড়তে পালিয়ে ছিলেন।
দুটি আসন থেকে রাহুল গান্ধী নির্বাচন লড়েছিলেন। এখন স্পষ্ট যে রাহুল গান্ধী কেন মুসলিম বহুল আসনেও নির্বাচন লড়েছিলেন। আসলে ওয়ানাদ থেকে না দাঁড়ালে রাহুল গান্ধী সাংসদ পর্যন্ত হতে পারতেন না। আজ ইতিহাস তৈরি হয়েছে এবং রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে স্মৃতি ইরানি জয়লাভ করেছেন।