ফের লাগাম হীন অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরের প্রার্থীকে পাঁচ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জেতানোর টার্গেট বেধে দিলেন তিনি। ভয় না পেয়ে তাঁর বেধে দেওয়া টার্গেট সফল করার নির্দেশ দিয়েছেন কর্মীদের। পরিস্কার জানিয়ে দেন, মানুষ যেমন উপকার চেয়ে নেবে, তারাও সেই ভাবে ভোটটা বুঝে নেবেন।
শনিবার ইলমবাজারের মঙ্গলডিহি পঞ্চায়েতের হাঁসড়া গ্রামে দলীয় সভায় অনুব্রত মণ্ডল বলেন, মোদিকে একটাও ভোট দেবেন না। বিজেপিকে একটাও ভোট দেবেন না। সিপিএমকে তো ভোট দেওয়ার প্রশ্নই নেই। আবারও রাম চন্দ্রবাবু (সিপিএম প্রার্থী) দাঁড়িয়েছেন। আগেরবার ৩ লক্ষ ভোটে হারিয়েছিলাম। তারপর কর্মীদের উদ্দেশ্যে অনুব্রত বলেন, “এবার আমাদের টার্গেট কত? নিজেই উত্তর দিয়ে বলেন, ৫ লক্ষ ভোট। পারবেন তো? ভয় পাবেন না। ভয় করবেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক। ১৫ বৈশাখ সকাল সকাল লাইনে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়াফুলে ভোট দেবেন। আজকে অসিত মালকে ভোট দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়া হবে। আজকে চন্দ্রনাথ সিনহা (রাজ্যের মন্ত্রী) আপনার বাড়ির লোক। উপকার চেয়ে নেবেন। কিন্তু ভোটটা আমরা বুঝে নেব।” এই কথা বলে ফেলার পরে নিজেই আবার বলেন, “তাই তো, ভুল হল না তো? ”
নির্বাচন কমিশনের নোটিশ দেওয়া নিয়েও মুখ খোলেন অনুব্রত। তিনি বলেন, আবার আজকে ইলেকশন কমিশন আমাকে শোকজ করেছে। কিসের শোকজ? এর পরেই একটু ঘুরিয়ে নকুলদানার গুনাগুন ব্যাখ্যা করে নিজের বক্তব্যেই অবিচল থাকেন। তিনি বলেন, আমি নাকি বলেছি, নকুলদানা। এত লোক নকুল দানা তো দিতেই হবে। নকুলদানা তো সবাই খায়। আমিও খাই। আপনারাও খান। অস্বীকার করতে পারেন? নকুলদানা দিলে কী মানুষের রক্ত খারাপ হবে? খেলে মানুষের রক্ত পরিষ্কার হবে। বুদ্ধি খুলবে। নকুল দানা যত বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছুবে, তত আপনারা তৃণমূল কংগ্রেসে ভোট দেবেন।
সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে মোদীর সমালোচনা করলেও, কৌশলে নিজেই সাম্প্রদায়িক তাস খেলেন। নরেন্দ্র মোদিকে দাঙ্গাবাজ বলে আক্রমণ করেন অনুব্রত। তিনি বলেন, আজ নরেন্দ্র মোদি বলছে হিন্দু মুসলমানে দাঙ্গা লাগাও। লজ্জা লাগে না। ৩২ টি দাঙ্গা করলে ইউপি—তে তুমি নরেন্দ্র মোদি। ২৭০০ মুসলিম ছেলেকে তুমি এন কাউন্টারে মেরে দিলে। কি অপরাধ? তোমাকে বলতে হবে যোগী আদিত্যনাথ। তুমি অসমে বলছ, হটাও মুসলিম। কই মমতা বন্দ্যোপাধযায় তো গুজরাটের লোকেদের বলে না। কোনও রাজ্যের লোককে বলে না।