পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ২৩ টি আসন পাবেই। আলিপুরদুয়ারে এসে জনসভা থেকে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। লোকসভা নির্বাচনের আগে আলিপুরদুয়ারে অমিত শাহের এটাই ছিল প্রথম দফার প্রচার। বাংলায় পদ্ম ফোটানো এবার গেরুয়া শিবিরের অন্যতম লক্ষ্য। এটা প্রায় সকলের কাছেই স্পষ্ট যে বাঙলায় ক্ষমতা পরিবর্তনে কোমর বেঁধে নেমেছে পদ্ম শিবির। সেই কারণেই লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রায় ২১ টি সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম সভা ছিল আলিপুরদুয়ারে শুক্রবার।
তবে নির্বাচনের প্রচারের প্রথম সভায় দলের সভাপতি কি বার্তা দিতে চলেছেন তার নিয়ে চলছিল যথেষ্ট জল্পনা। আর প্রত্যাশা মতোই প্রথম সভা থেকেই দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে আরো একবার ভোটের টার্গেট স্পষ্ট করে দিলেন দলের চাণক্য। তাঁর কথায় বিজেপি এবার পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি আসন পাবেই।
যদিও এদিনের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমন করে তুলোধুনা ও করাই ছিল অন্যতম লক্ষ্য বিজেপি সভাপতির বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অমিত শাহ বলেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সময় শেষ হয়ে এসেছে। তৃণমূল সরকারের আমলে গণতন্ত্র পশ্চিমবঙ্গে বিপন্ন। তাই এ রাজ্যে গণতন্ত্র থাকবে কিনা তা ঠিক করবে এই ভোট। তিনি বলেন টিএমসি মানে তৃণমূল তোলাবাজি ট্যাক্স। বাংলায় চলছে সিন্ডিকেটের রাজত্ব।
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুধু হিংসা হয়েছে এখানে।বাংলায় শুধুমাত্র বোমার আওয়াজ শোনা যায় এখন।
তাই মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন এবারের ভোটে আধাসেনা থাকবে । অতএব আধা সেনার উপস্থিতিতে সকলে নিজের ভোট দিতে পারবেন। অবাধ সুষ্ঠু ভোট করার চেষ্টা করছেন নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই ঝাঁঝালো বক্তব্যে উজ্জীবিত হয়েছেন রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব। অমিত শাহের বক্তব্য যে দলীয় কর্মীদের কাছে ভোটের আগে বাড়তি অক্সিজেন দিল তা বলাই বাহুল্য।